হত্যার পর মুখ ঝলসে দেওয়া এক নারীর বিকৃত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বিকালে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের হেজাতিপাড়া গ্রামের একটি ভুট্টাখেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অন্য কোথাও তাকে হত্যা করে মরদেহ এনে এই ভুট্টাখেতে ফেলে যাওয়া হয়েছে। হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। মুখ ঝলসে যাওয়ায় তার পরিচয় এখনও শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ বলছে, ধর্ষণের পর প্রায় ৪৫ বছরের ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে। এরই মধ্যে মরদেহে পচন ধরেছে। হয়তো দুদিন আগে হত্যাকাণ্ডটি ঘটনো হয়েছে। রাজশাহীর বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন আলী জানান, সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান তাকে ফোন বলেন; বাউসা হেজাতিপাড়া গ্রামের মো. লালু নামের একজন কৃষকের ভুট্টাখেতে স্থানীয় লোকজন মরদেহটি দেখতে পেয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। হত্যার পরে ওই নারীর পরিচয় আড়াল করার জন্য কোনো দাহ্য পদার্থ দিয়ে মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তার পরনে কমলা রঙের শাড়ি, সবুজ রঙের ব্লাউজ ও মাথার নিচে কালো রঙের বোরখা ছিল, তা ভালো আছে। তাতে কোনো ধরণের দাগও নেই।
ওসি মহসীন আলী আরও বলেন, মরদেহের যৌনাঙ্গে লুব্রিকেন্ট মাখানো পাওয়া গেছে। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে অন্য কোথাও হত্যা করে মরদেহ ভুট্টাখেতে এনে ফেলে যাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তা ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। নিহত নারীর পরিচয় শনাক্ত করা না গেলে এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করবে বলেও জানান ওসি মহসিন আলী।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক