শরীয়তপুর সদর উপজেলায় কুকুর পালা নিয়ে বিরোধের জের ধরে শুকুমার মণ্ডল (৫৫) নামে এক কাঠমিস্ত্রীকে পিটিয়ে দিয়ে আঘাত করে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শরীয়তপুর পৌরসভার ঋষিপাড়া এসআইআইটি অফিস কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এ সময় আহতের ছেলে চন্দন মণ্ডল, ভাই গোপাল মণ্ডল, ভাতিজা বিশ্বজিৎ মণ্ডল, মিলন মণ্ডল, চাচি মায়া রানী মণ্ডল, মিলনী রানী মণ্ডল ও প্রতিবেশী জামাল খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উপজেলার পালং ইউনিয়নের পাটুনিগাঁও গ্রামের মৃত ক্ষেত্রমোহন মণ্ডলের ছেলে শুকুমার মণ্ডল (৫৫) ও প্রতিবেশী মৃত নিবারণ মণ্ডলের ছেলে জয়দেব মণ্ডলের সঙ্গে কুকুর পালা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শরীয়তপুর পৌরসভার আটং এলাকায় বটগাছের নিচে পূর্ব পরিকল্পনা করে জয়দেব মণ্ডল (৫৫), সনাতন মণ্ডল (২৫), চঞ্চল মণ্ডল (২২), কালু মণ্ডল (৬৫), যাদব মণ্ডল (৪০), অনাথ মণ্ডল (২৮)সহ ২/৩ জন মিলে শুকুমার মণ্ডলকে একা পেয়ে দা ও হাতুড়ি দিয়ে মাথায় ও শরীরে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। শুকুমারের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন। ঢাকা মেডিকেল থেকে চিকিৎসকরা মহাখালী আয়শা মেমোরিয়াল হসপিটালে প্রেরণ করেন। সেখানে শুকুমার আইসিইউতে ভর্তি আছেন। তার অবস্থা আশংকাজনক।এ ঘটনায় শুকুমার মণ্ডলের ভাতিজা বিশ্বজিৎ মণ্ডল বাদী হয়ে গত ১৩ জুন বৃহস্পতিবার রাতে ৬জনকে আসামি করে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পরের দিন শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে আসামি অনাথ মণ্ডলকে আটক করে পুলিশ। রবিবার অনাথ জামিনে চলে আসেন।
আহত শুকুমার মণ্ডলের ছেলে চন্দন মণ্ডলসহ অনেকেই জানান, পূর্বপরিকল্পনা করে শুকুমার মণ্ডলকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় হাতুড়ি ও দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। আসামি জয়দেব মণ্ডল, সনাতন মণ্ডল, চঞ্চল মণ্ডলসহ সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার করে বিচার দাবি জানান তারা।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, আসামিরা বাড়ি থেকে পালিয়েছে। একজনকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক
