১৯ জুন, ২০১৯ ১০:২০

বয়স্ক ভাতা জোটেনি শতবর্ষী বাছিরনের

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

বয়স্ক ভাতা জোটেনি শতবর্ষী বাছিরনের

বয়স প্রায় একশত ছুঁই ছুঁই। বয়সের ভারে ন্যুব্জ। চোখেও তেমন দেখেন না। কানেও ভালোভাবে শুনতে পান না। স্বামী জহুর আলীও মারা গেছেন ৭-৮ বছর আগে। তবুও বয়স্ক ভাতা জোটেনি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কুড়াগাছা গ্রামের বাছিরনের। বাছিরনের প্রশ্ন- আর কত বয়স হলে ভাতা পামু বাহে?

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাছিরনের কোনো ছেলে নেই। মেয়ে থাকলেও তাদের স্বামীর সংসারেই টানাটানি। ফলে বাছিরনের দেখা-শোনা করার কেউ নেই বললেই চলে। এই অভাব-অনটনে কেউ কিছু দিলে বাছিরনের খাওয়া চলে। না জুটলে অনাহারে উপোস থাকতে হয়। তার এই দুরবস্থায় এতোদিনেও কোনো জনপ্রতিনিধির নজরে আসেনি বিধায় সামাজিক নিরাপত্তার বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় রাষ্ট্রীয় সুবিধা বিধবা বা বয়স্ক ভাতা অথবা দরিদ্র হিসেবে কোনো ভাতা বা সুবিধা কখনো পাননি বয়োবৃদ্ধ বাছিরন। এলাকাবাসী আরো জানান, বাছিরনের ঘরের যে অবস্থা, তাতে বৃষ্টি এলে সব কিছু ভিজে একাকার হয়ে যায়। ঝড় এলে আল্লাহর নাম নেওয়া ছাড়া কিছু করার থাকে না।

এ বিষয়ে কুড়াগাছা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে কুড়াগাছা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রোমানের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান,  বিষয়টি আমি জানি। বাছিরনের কার্ড করে দিতে তার জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ছিলেন সংরক্ষিত ইউপি মেম্বার সুফিয়া বেগম। কিন্তু তিনি সেই পরিচয়পত্রটি হারিয়ে ফেলায় বাছিরনের জন্য কিছু করা যায়নি। এরমধ্যে আবার সুফিয়া বেগম মারা যাওয়ায় আরও বিপত্তি ঘটে। কুড়াগাছা ইউনিয়ন পরিষদে বাছিরনের বিষয়টি আলোচনা হয়েছে এবং চলতি জুনের মধ্যেই বাছিরনের জন্য কার্ড করে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। 

এ ব্যাপারে মধুপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শামীমা নাসরিন জানান, বাছিরনের কার্ডের ব্যবস্থা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করে দেয়া হবে।

 
বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর