১৫ জুলাই, ২০১৯ ১৯:৪৬

নকলায় নদীর ভাঙনে বিলিন হচ্ছে আবাদী জমি ও ঘর-বাড়ি

শেরপুর প্রতিনিধি

নকলায় নদীর ভাঙনে বিলিন হচ্ছে আবাদী জমি ও ঘর-বাড়ি

গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদ এবং এই নদের শাখা মৃগী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ও পানির তীব্র স্রোতে তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে প্রবল ভাঙন শুরু হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আতঙ্কে অন্তত ১৫-১৬টি পরিবার বাড়ি ছাড়া হয়েছেন। তাছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের শাখা মৃগী নদীর ভাঙনে বাছুর আগলা এলাকার কিছু পরিবারের আবাদী জমি ও রাস্তা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙন থেকে জান-মাল রক্ষা করতে অনেকেই দূরে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ কেউ বাড়ি-ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়া গত কয়েকদিনের অতি বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে নকলা উপজেলার গণপদ্দী, নকলা, উরফা, বানেশ্বররদী, অষ্টধর, পাঠাকাটা ও গৌড়দ্বার ইউনিয়নে অনেক ফসলী জমি ও আমন বীজ তলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

নদীর ভাঙনে গৃহহীন ও ভূমিহীন হওয়া আছিয়া বেগম জানিয়েছেন, ৫ শতাংশ জমিতে ছোট একটি ঘরে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতাম। এখন ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন। 

চকবড়ইগাছী গ্রামের আফাজ উদ্দিন জানিয়েছেন, নিজের বলতে ১০ শতক জমি ছিল। সেখানে ঘর-বাড়ি করে থাকতাম।এখন সব নদী গর্ভে। 
 
স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘদিন যাবৎ মৃগী নদীতে বেশ কয়েকটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের কারণে এবং বর্তমানে অতি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে নদীর উত্তরপাড় এলাকায় এ ভাঙন শুরু হয়েছে। পাকা রাস্তার নিচের মাটি সরে যাওয়ায় ঝুঁকিতে যাতায়াত করছেন পথচারীরা।

নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন কবলিত লোকদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াসহ ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তারা জানিয়েছেন। 

নদী ভাঙনে জানমাল রক্ষায় সতর্ক থাকার জন্য কবলিত এলাকার লোকজনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সম্ভব হলে বাড়ি-ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। সেই সাথে ভাঙনের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় মৃগী নদীর ভাঙন রোধে এতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে বলে প্রশাসন ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাজহারুল ইসলাম মোবাইল ফোনে জানান, রবিবার সকাল থেকে নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়েছে।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর