১৬ জুলাই, ২০১৯ ১৬:৫৫

খাগড়াছড়িতে আষাঢ়ী পূর্ণিমা উদযাপন

মো. জহুরুল আলম, খাগড়াছড়ি :

খাগড়াছড়িতে আষাঢ়ী পূর্ণিমা উদযাপন

দায়ক-দায়িকারা আষাঢ়ী পূর্ণিমায় মঙ্গল প্রদীপ জ্বালাচ্ছেন

আষাঢ়ী পূর্ণিমা (মারমা ভাষা ওয়াছো হ্লাব্রে) বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের অন্যতম সামাজিক ধর্মীয় অনুষ্ঠান । খাগড়াছড়ি ঐতিহ্যবাহী য়ংড বৌদ্ধ বিহারে ন্যায় সকল বৌদ্ধ বিহারে যথাযোগ্য মর্যাদা মধ্য দিয়ে আষাঢ়ী পূর্ণিমা উদযাপন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঐতিহ্যবাহী য়ংড বৌদ্ধ বিহার দায়ক-দায়িকাবৃন্দ সমাগম হয়ে এ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে। এ সময় ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, বুদ্ধ পূজা, পঞ্চশীল গ্রহণ, বুদ্ধমূর্তি দান, অষ্টপরিখারা দান, সংঘ দান, ভিক্ষু সংঘের পিণ্ডদান, চীবর দান, ধর্ম দেশনা সভাসহ হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, বিভিন্ন বস্তু দানসহ দেশের সকল জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এসময় অনুষ্ঠানে দায়ক-দায়িকাদের উদ্দেশ্যে ধর্ম দেশনা প্রদান করেন য়ংড বৌদ্ধ বিহারে বিহার অধ্যক্ষ ।

আষাঢ়ী পূর্ণিমা বৌদ্ধদের তাৎপর্য্যপূর্ণ ও পবিত্র একটি দিন। আজ পূর্ণিমা দিন থেকে তিন মাস বর্ষাবাস পালন করবে ভিক্ষু এবং সাধারণ দায়ক-দায়িকারা। তিন মাস ভিক্ষুরা ধর্ম শিক্ষা অনুশীলন করবে। সাধারণ দায়ক-দায়িকারা ধ্যান, সাধনাসহ পঞ্চশীল ও অষ্টশীল পালন করবে। ভিক্ষুরা বর্ষাবাস তিন মাস অন্য বিহারে কাজে গেলেও নিজ বিহারে এসে রাত্রিযাপন করেন। এ বর্ষাবাস অনুসারে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের অগ্রজ-অনুজ হিসেব করা হয়। যে ভিক্ষু বর্ষাবাস অথাৎ ওয়াং বেশি হবে সেই অগ্রজ ভিক্ষু হিসেবে গণ্য হবে। মারমা সম্প্রদায়ে সমাজের রীতি অনুসারে যুবক-যুবতীরা বর্ষাবাস এ তিন মাসে বিবাহ করতে পারবে। গৌতম বুদ্ধ যেমন নিজ প্রচেষ্টা  জীবনের পূর্ণতা সাধন করে মহাবোধি বা আলোকপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। বুদ্ধত্বপ্রাপ্ত হন তেমনি পূর্ণ চন্দ্রে মতো নিজের জীবনকে ঋদ্ধ করাই প্রতিটি বৌদ্ধদের প্রচেষ্টা করবে। 

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর