চাঞ্চল্যকর ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিআইবির পরিদর্শক শাহ আলমের সাক্ষ্য দ্বিতীয় দিনের মতো সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এর আদালতে তার সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এর আগে বুধবার সাক্ষ্য প্রদান শেষ না হওয়ায় আদালত রবিবার সকাল পর্যন্ত মূলতবি করা হয়েছিল। রবিবার দ্বিতীয় দিনে মতো তিনি সাক্ষ্য উপস্থাপন করেন। তবে রবিবারও সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় আদালত সোমবার পর্যন্ত মূলতবি করা হয়েছে।
সোমবার তৃতীয় দিনের মতো তিনি সাক্ষ্য প্রদান করবেন। সাক্ষ্য শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করবেন।
সাক্ষ্য প্রদানে পিবিআইর পিরদর্শক শাহ আলম জানান, ১২জন আসামি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছেন। আমরা তাদের আদালতে নিয়ে যাই। তারা বিচারকের কাছে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। আসামিদের ধরতে আমরা একাধিক গুপ্তচর নিয়োগ করি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসামিদের গ্রেফতার করার পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা দেন তিনি।
তিনি আরও জানান, আসামিদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে অপরাপর আসামিদের আমরা গ্রেফতার করি ও বিভিন্ন আলামত জব্দ করি। এ পর্যন্ত এ মামলায় ৮৬ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শাহ আলমের সাক্ষ্য ও জেরা শেষে ৮৭ জনের সাক্ষ্য হবে। মোট ৯২জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের কথা ছিল। ঢাকা মেডিকেল কলেজের কয়েকজন ডাক্তারসহ ৫জন তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেননি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনি মধ্য দিয়ে মামলার ১৬ আসামিকে জেলা কারাগার থেকে বেলা ১১টায় ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এর আদালতে হাজির করা হয়।
প্রসঙ্গত, সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ আনেন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার। পরে মামলাটি তুলে না নেওয়ায় গত ৬ এপ্রিল পরীক্ষার হল থেকে নুসরাতকে কৌশলে ডেকে পাশের ভবনের তিন তলার ছাদে নিয়ে সিরাজ উদ দৌলার সহযোগীরা নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। পাঁচদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে নয়টায় ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুবরণ করে নুসরাত।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন