পঞ্চগড়ে বোদা উপজেলার ব্যংহারী ইউনিয়নে বনবিভাগের জমি দখল করে বাদাম চাষের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে বোদা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে বনবিভাগ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঐ ইউনিয়নের নন্দরাম মন্ডল মৌজায় বনবিভাগের ১০৮ একর জমি রয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই জমির মধ্যে প্রায় তের একর জমি সামাজিক বনায়ন করার জন্য স্থানীয় ১২ জন উপকারভোগীকে ১০ বছরের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে পঞ্চগড় সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ওই ১৩ একর জমির মধ্যে প্রায় ৬ একর জমিতে সদর উপজেলার মাগুরা প্রধান পাড়া গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক মাহামুদুল আলম বাদাম চাষ করার জন্য গত শনিবার বিকেলে ট্রাকটর দিয়ে হাল চাষ শুরু করে।
এসময় উপকারভোগীরা বনবিভাগকে জানালে পঞ্চগড় সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্মচারিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে চাষ করতে বাধা প্রদান করে। কিন্তু মাহামুদুল আলমের লোকজন বোদা উপজেলার ঝলকলি গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে আব্দুল জলিল, মানিক পীর এলাকার খমির উদ্দিনের ছেলে সফিউল ইসলাম বাধা না মেনে জোর করে চাষ শুরু করে। এক পর্যায়ে বিষয়টি ফোনে বোদা থানায় জানান তারা। পরে বোদা থানা পুলিশ ট্রাকটরটিকে জব্দ করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে জিম্মা দেয়।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসা শিক্ষক মাহামুদুল আলম জানান, তিনি এই জমি স্থানীয় রেকর্ডিয় মালিকদের কাছ থেকে প্রায় দশ বছর আগে কিনে নিয়েছেন। অচিরেই বনবিভাগকে কাগজ পত্র দেখাবেন বলে জানান তিনি।
শনিবার রাতে পঞ্চগড় সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন বোদা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি জানান, এই মৌজায় বনবিভাগের ১০৮ একর জমি রয়েছে। বনবিভাগ স্থানীয়দের নিয়ে সামাজিক বনায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। বনায়নের কাজও শুরু হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তরা জমি দখল করে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ শুরু করলে আমরা খবর পেয়ে ছুটে আসি।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু হায়দার মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান জানান , অভিযোগ পেয়েছি। এখনো মামলা অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। এ ব্যাপারে বনবিভাগকে সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল