পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা অনুর্ধ্ব ১৯ কাবাডি প্রতিযোগীতার ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে এক স্কুলের খেলোয়াড় ও শিক্ষার্থীদের হামলায় অপর স্কুলের ৭ খেলোয়াড়সহ অন্তত ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে মো. কিশোর, আবু সালেহ, মো. কাওসার, আব্দুর রহমান, মো. মুছা খান, রাকিব হোসেন ও আল আমিনকে উদ্ধার করে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এরা সকলেই এবিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পাঙ্গাশিয়া এবিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ মাঠে দুমকি একে মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় বনাম পাঙ্গাশিয়া এবিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে কাবাডি প্রতিযোগীতার ফাইনাল খেলা শুরু হয়। খেলায় উপজেলা সদরের একে মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মফস্বলের এবিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাথে নিশ্চিত হার বুঝতে পেরে এক খোলোয়াড়কে ধরা নিয়ে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে হামলা চালিয়ে ৭জন খেলোয়াড়সহ অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করে। এ হামলায় একে মডেল স্কুলের শিক্ষকরাও অংশ নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে খেলা পণ্ড হয়ে যায়।
দুমকি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, খেলায় হার বুঝতে পেরে ছাত্ররা একে অপর পক্ষের উপর হামলা চালিয়েছে। তবে ৩ জন খোলোয়াড় একটু বেশি আহত হয়েছনি।
দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শঙ্কর কুমার বিশ্বাস বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। তবে উভয় বিদ্যালয়ের শিক্ষককে আগামী মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। আর অভিযুক্ত একে মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে তার স্কুলের সকল শিক্ষক এবং খোলোয়াড় ও তাদের অভিভাবকদের নিয়ে একই দিন উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখব ঘটনায় কারো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ইন্দন আছে কিনা। থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন