জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, আমরা মনোনয়নের জন্য একটি ৫ সদস্যের কমিটি করেছিলাম। পরবর্তীতে আমাদের মাঝে চেয়ারম্যান এবং বিরোধী দলীয় নেতা নিয়ে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে আমি উদ্যোগ নিয়ে দুইপক্ষের ৫ জন করে প্রতিনিধি নিয়ে বিষয়টি মিমাংসার জন্য ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে বসি। সেখানে বিষয়টি সমঝোতা হয়। সেখানেই আমাকে ও পার্টির চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেয়া হয় রংপুর-৩ আসনের উপ নির্বাচনে প্রার্থী সিলেক্ট করার জন্য। সেখানেই আমি বিষয়টি চেয়ারম্যানের ওপর এককভাবে দায়িত্ব দেই। তিনি সেখানেই এরশাদ পুত্র রাহগীর আল মাহী সাদকে চুড়ান্ত মনোনয়ন দেন। এই আসনে যারা জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তারা সবাই আমার সাথে ফোনে কথা বলেছেন এবং সাদকে সমর্থন দিয়েছেন। আমাদের মধ্যে কোন বিরোধ নেই।
সোমবার বেলা সাড়ে তিনটায় রংপুর নির্বাচন অফিসে সাদ এরশাদের মনোনয়ন দাখিলের পর সাংবাদিকদেও সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মহাসচিব বলেন, সংসদে এরশাদের জন্য শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। সেখান বলা হয়েছে তিনি ভালো মানুষ ছিলেন। এই আসনের বর্তমান প্রার্থী সাদ নির্বাচিত হয়ে তার বাবার অসমাপ্ত কাজ করবে। আমরা মনে করি রংপুরের উন্নয়নের জন্য রংপুরের মানুষ সিদ্ধান্ত নিবে। এরশাদকে যেভাবে রংপুরের মানুষ বিজয়ী করেছেন। সেভাবেই সাদকেও বিজয়ী করবেন। এরশাদ পার্টির চেয়ারম্যান থাকার কারণে সময় কম পেয়েছেন। সেদিক বিবেচনা করলে সাদ অনেক বেশী দিতে পারবেন। আশা করি তার মাধ্যমে রংপুরের রাস্তাঘাটসহ সকল ক্ষেত্রে আরও ব্যপক উন্নয়ন হবে। এখানে আমরা সরকার এবং বিরোধী দল একত্রে মিলে উন্নয়ন করবো।
এরশাদের ভাতিজা আসিফ প্রসঙ্গে রাঙ্গা বলেন, এরশাদ তাকে বহিষ্কার করে গেছেন। এখন তার চাচা চেয়ারম্যান আছেন। তার বিষয়টি তিনি বিবেচনা করবেন। এখানে আমার কোন হাত নেই।
সাদ মহাজোটের প্রার্থী প্রসঙ্গে রাঙ্গা বলেন, আমরা সংসদে প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি এই আসনটি ভিভিআইপি আসন। এরশাদের আসন। আমরা একসাথে গত নির্বাচনেও মহাজোটবদ্ধ নির্বাচন করেছি। এবারও তাই হবে। আশা করি প্রধানমন্ত্রী মহাজোটবদ্ধভাবে এখানে নির্বাচন করার ব্যবস্থা করবেন।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন