১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ২০:০৬
রংপুর-৩ উপ-নির্বাচন

পিতার কবর জিয়ারত করে প্রচারণা শুরু করলেন সাদ এরশাদ

রেজাউল করিম মানিক, রংপুর:

পিতার কবর জিয়ারত করে প্রচারণা শুরু করলেন সাদ এরশাদ

ফাইল ছবি

পিতা জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত করে তারই আসনে উপ-নির্বাচনে লড়তে প্রচারণা শুরু করলেন পুত্র রাহগীর আল মাহী সাদ এরশাদ। প্রচারণা শুরুর পরপরই তিনি ঘোষণা দিয়েছেন- তিনি শুধু রংপুরের জন্য নির্বাচন করছেন না, সারা বাংলাদেশে পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য নির্বাচন করছেন। প্রবীণদের সহযোগিতায় তরুণদের নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। 

মঙ্গলবার বিকেল চার টায় পল্লী নিবাসে পল্লীবন্ধুর কবর জিয়ারত শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন। এসময় তার সাথে ছিলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি আজমল হোসেন লেবু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক, শাফিউল ইসলাম শাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনসী আব্দুল বারী, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামান নাজিম প্রমুখ। এর আগে সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে বিশাল শোডাউন নিয়ে নেতাকর্মীরা তাকে পল্লী নিবাসে আনা হয়। পল্লী নিবাসে এসে তিনি পিতার কবর জিয়ারত করেন। সেখানে ফাতেহা পাঠ করেন। পরে জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাফিউল ইসলাম শাফী মোনাজাত পরিচালনা করেন। 

মোনাজাত শেষে সাদ এরশাদ ঘোষনা দেন, বাবার কবর জিয়ারত করেই তারই আসনে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলাম। আপনার সহযোগিতা নিয়ে আমি নির্বাচতে জিততে চাই। কবর প্রাঙ্গন থেকে সাদকে সাথে নিয়ে শুভেচ্ছা মিছিল বের হয়। পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সাদ বলেন, সবার সহযোগিতা নিয়ে আমি নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। আজকে বাংলাদেশ আর ছোট নেই। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ এখন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। সারা বিশ্বে যেখানেই টি শার্ট সেখানেই বাংলাদেশ। আমি আব্বার আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। ইনশাল্লাহ বিজয়ী হবো। বিজয়ী হয়ে রংপুরসহ সারা বাংলাদেশে আব্বার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার চেষ্টা করবো। এজন্য আমি তরুণদের পাশে চাই, আর প্রবীণদের সহযোগিতা চাই। সন্ধ্যায় তিনি কর্মী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এবং বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন।
 
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুলাই রংপুর সদর-৩ আসনের এমপি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিরোধী দলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর ১৬ জুলাই আসনটি শুন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এই আসনে ১২ জন মনোনয়ন দাখিল করলেও জমা দিয়েছেন ৯ জন। বাছাইয়ে ২ জন বাতিল হওয়ায় এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় এখন এই আসনে লড়ছেন ৬ জন। এরমধ্যে এরশাদপুত্র মহাজোট প্রার্থী সাদ এরশাদ, জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার, বিএনপির রিটা রহমান, এনপিপির শফিউল আলম, খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মন্ডল রাজু, গণফ্রন্টের কাজী মো. শহীদুল্লাহ। রংপুর সদর উপজেলা এবং রংপুর সিটি করপোরেশনের ৯ থেকে ৩৩ নম্বর এলাকা নিয়ে গঠিত রংপুর-৩ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪১ হাজার ৬৭৩ জন। এই আসনে ভোটকেন্দ্র ১৭৫ টি, ভোট কক্ষ ৯১০টি। 

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর