১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ২২:০৯

মুন্সীগঞ্জের পদ্মায় অবৈধভাবে চলছে বালু উত্তোলন

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি :

মুন্সীগঞ্জের পদ্মায় অবৈধভাবে চলছে বালু উত্তোলন

পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে মুন্সীগঞ্জ সদর ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলায়। ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে ট্রলারের মাধ্যমে সরবরাহ করা হচ্ছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সদরের রাকিরকান্দি ও টঙ্গিবাড়ীর দিঘিরপাড় অংশের নদীটি। শিলই ইউপি চেয়ারম্যান লিটন বেপারির ভাই ও সাবেক ইউপি সদস্য ইসমাইল বেপারী এই অবৈধ বালু উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

বালু উত্তোলনের কথা স্বীকার করে শিলই ইউনিয়নের রাকিরকান্দি গ্রামে ইসমাইল বেপারী ইসমাইল জানান, কয়েক দিন যাবত সরকারি কাজের জন্য ও নিজের বাড়ির প্রয়োজনে একটি মাত্র ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীর দিঘিরপাড় এলাকায় পদ্মা নদীতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিদিন পদ্মা নদীর দুইটি পয়েন্টে ভোর থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। চলতি বছরের শুরুতে পদ্মা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনকালে উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে একটি ড্রেজার আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। এরপর বেশ কিছুদিন সেখানে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকে। তবে সম্প্রতি আবারো অবৈধ বালু উত্তোলন শুরু করেন শিলই ইউপির চেয়ারম্যানের ভাই ইসমাইল বেপারী। সদর উপজেলার শিলই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ইসমাইল বেপারীর নেতৃত্বে এ বালু উত্তোলন চলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, ভোর থেকে শুরু হয় বালু উত্তোলনের মহাউৎসব। ট্রলারযোগে বালু ভরে নিয়ে যায় অন্যত্র। 

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আহম্মেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বছর খানেক আগে অবৈধ বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে শিলই ইউনিয়ন সংলগ্ন পদ্মায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ড্রেজার ও বিপুল পরিমানের পাইপ জব্দ করে। পরে ওই ড্রেজার ও পাইপ আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে সেখানে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকে। তবে বর্তমানে বালু উত্তোলন শুরু হয়ে থাকলে প্রশাসন তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবে।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর