আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষ চলে।
এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন সোনাইমুড়ি পৌরসভার প্যানেল মেয়রের জহির উদ্দিনের কার্যালয়, দোকান ও গাড়ি ভাঙচুর করে। সংঘর্ষে সোনাইমুড়ি থানার ওসিসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন পর্যন্ত নোয়াখালী-১ (সোনাইমুড়ি-চাটখিল) আসনে আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছে। গত মঙ্গলবার সোনাইমুড়ি বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় মামলা হলে বুধবার সন্ধ্যায় সোনাইমুড়ি থানার ওসির নেতৃত্বে দুই পক্ষকে ডেকে এনে তা মীমাংসার চেষ্টা চলে। এক পর্যায়ে ওসির উপস্থিতিতে সোনাইমুড়ি বাইপাস এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির মধ্যে হঠাৎ কেউ একজন গুলি করে। ওই গুলি গিয়ে বিপ্লব নামে এক পথচারির পায়ে লাগে। এরপরই শুরু হয়ে যায় উভয় পক্ষের সংঘর্ষ। সংঘর্ষ রনক্ষেত্রে রূপ নেই। ভাঙচুর করা হয় দোকানপাঠ ও যানবাহন।
এ সময় সোনাইমুড়ি থানার ওসি আবদুস সামাদ, কন্সটেবল জসিম উদ্দিনসহ পুলিশের দুই সদস্য ও জেলা যুবলীগের সদস্যসহ অন্তত ১২জন আহত হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাকা গুলি করে।
পুলিশ জানায়, থানার ওসিসহ পুলিশের দুই সদস্য ছাড়াও দুই পক্ষের অনেকে আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। পরে জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ আসার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বর্তমানে পুরো উপজেলা শহরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ