চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শফিকে (৫৬) কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাত ও রবিবার দুপুর পর্যন্ত সময়ে ১৩ জনকে গ্রেফতার পুলিশ। এদিকে, এ হামলার প্রতিবাদে জেলা আইনজীবী সমিতি সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো আদালত বর্জন করে।
এর আগে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ১৩ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সাহিদা খাতুন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ এইচ এম লুৎফুল কবির জানান, আহত অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শফির স্ত্রী সাহিদা খাতুন শনিবার ১৩ জন এজাহার নামীয় আসামিসহ অজ্ঞাত নামে গুরুতর আঘাত ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এ মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে রবিবার দুপুর পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ইমন হোসেন (২০), রেদোয়ান আহমেদ (২৪), মাসুম হোসেন (২২), মোহাম্মদ শান্ত (২০), শাহাদত হোসেন টুটুল (২২), মেহেদী হাসান (২০), আকাশ হোসেন (১৮), জাহিদুল ইসলাম লাল্টু (২৫), মুনতাজ আলী (৩৬), আব্দুর রব (৩৬), মিজানুর রহমান (৪৯) ও নাজিম উদ্দিন (৫২)।
গ্রেফতার আসামিদের সকলের বাড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় এবং পাশের দৌলাতদিয়া গ্রামে।
পরিদর্শক লুৎফুল কবির আরও জানান, এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল বাশার জানান, জেলা আইনজীবী সমিতি সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো আদালত বর্জন করেছে। অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শফির উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে আইনজীবী সমিতি।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে চুয়াডাঙ্গা রেলবাজার এলাকার একটি মসজিদে নামাজ পড়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফি বাড়ি ফেরার জন্য জনতা ব্যাংক রেলবাজার শাখার নিচে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় কয়েকটি মোটরসাইকেলে চড়ে একদল যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন