সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌর সদরের বেত্রাবতি (বেতনা) নদীর ওপর নির্মিত জনগুরুত্বপূর্ণ মুরারিকাটি কাঠের ব্রিজটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ৪৯ বছরের কাঠের ব্রিজটির পরিবর্তে নতুন পাকা ব্রিজ নির্মাণের দাবি আজও পূরণ হয়নি এলাকাবাসীর।
খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, ৪৯ বছর আগে মুরারিকাটি গ্রামের তৎকালীন জমিদার তারক নন্দী এলাকার উন্নয়নে বেতনা নদীর উপর লোহার ফ্রেম ও কাঠের পাটাতন দিয়ে দক্ষিণ মুরারিকাটি ব্রিজটি নির্মাণ করেন। এরপর থেকে দক্ষিণ মুরারিকাটি, গোপিনাথপুর, পাথরঘাটা, ঘর চালা, কাশিয়াডাঙা ও কুমারনল গ্রামের এলাকার মানুষের সাথে কলারোয়া বাজার ও পৌর সদরের সাথে ব্রিজটি সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করে। যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও একধাপ এগিয়ে যায়। ১৯৫৬ সালে লোহার পাটাতনের এই ব্রীজটি ভেঙে গেলে বেকায়দায় পড়ে এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। পরবর্তীতে এলাকাবাসী বাঁশ ও কাঠ দিয়ে ব্রিজটি মেরামত করে কোন রকমে অত্র এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা টিকিয়ে রেখেছেন। বর্তমানে ব্রিজটি চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। অনেক স্থানে কাঠের পাটাতন উঠে গেছে।
লোহার কাঠামোর অবস্থাও একই রকম। মরিচা পড়ে লোহার অংশ বিশেষ ভেঙেচুরে খসে খসে পড়ছে। কলারোয়া উপজেলা সদরে যাতায়াতের দ্রুততম মাধ্যম দক্ষিণ মুরারিকাটি, গোপিনাথপুর, পাথরঘাটা, ঘর চালা, কাশিয়াডাঙা ও কুমারনল গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। পণ্য পরিবহণে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় পথচারিদের। তবে এ ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথা নেই। এই মুহূর্তের ব্রিজটি সংস্কার বা নতুন নির্মাণ করা না হলে যে কোন সময় ভেঙে পড়ে বড় ধরণের প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার মাধ্যমে বেত্রাবতি নদীর উপর টেকসই ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব