পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক আব্বাস হাওলাদার (৬০) হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহত কৃষকের স্ত্রী মোসা.ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে নীলগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো.শামিম খলিফা ও তার ছোট ভাই মিলন খলিফ সহ ৩৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জনকে আসামী করে শুক্রবার রাতে কলাপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
শনিবার দুপুরে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মইনুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ মামলার প্রধান আসামি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো.শামিম খলিফাসহ তার ছোট ভাই মিলন খলিফাকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া আরও ৮ আসামিকে কলাপাড়ার বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
মামলার বিবরনে জানা গেছে, হামলাকারীরা শুক্রবার ভোর রাতে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সলিমপুর গ্রামে রশিদ খলিফার বাড়ীতে প্রবেশ করে তাদের তিনটি বসতঘর হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এসময় বাড়ীতে থাকা গাছপালা কেটে অন্তত তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে। হামলার সময় তাদের পরিবারের লোকজনদের চোখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারত্মক জখম করে। এতে কৃষক আব্বস হাওলাদার (৬০) এর মৃত্যু হয়। তাৎক্ষনিক পুলিশ ওই এলাকা থেকে ৬ জন আসামিকে আটক করে। পরে অভিযান চালিয়ে আরও ৪ জনসহ মোট ১০ জন আসামিকে আটক করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সলিমপুর গ্রামের মোছলেম আলী খলিফা ও তার ভাই রশিদ খলিফা গ্রুপের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার ভোররাত সাড়ে ৪ টার দিকে মোসলেম খলিফা গ্রুপের লোকজন রশিদ খলিফার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুরসহ অন্তত ৮ জনকে কুপিয়ে জখম করে। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য নেয়ার পথে কৃষক আব্বাস হাওলাদার মারা যান।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ উপ-পরিদর্শক মো.আবুল হোসেন জানান, অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পটুয়াখালী পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ