কুমিল্লায় পারিবারিক বিরোধের জেরে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে কার্তিক দাস (৪২) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর পূর্বে লিখে গেছেন একটি চিরকুট। ওই চিরকুটে তিনি তার মৃত্যুতে কাউকে দায়ী করেন নি। শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর পূর্ব বাগিচাগাঁও গ্রামীণফোন গলির একটি দোতলা বাড়িতে আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে। কার্তিক দাস ওই এলাকার মৃত দিনেশ দাসের ছেলে।
কার্তিক দাসের ভাই এড. সুবীর নন্দী বাবু জানান, কার্তিক কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আমড়াতলী গ্রামে বিয়ে করেন। কথা দাস নামে তাদের একটি ৫ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব লেগে থাকতো। স্ত্রীর মাধুরী দাসের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে গত জুলাই মাসে কার্তিক আরও একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে তাদের স্বজনরা বসে অভিযোগগুলো মীমাংসা করে দেয়। কিছুদিন পর আবার তাদের মধ্যে নতুন দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। বাসায় স্বামীকে রেখে স্ত্রী মাধুরী তার বাবার বাড়ি চলে যায়। কিছুদিন পর একমাত্র মেয়েকেও নিয়ে যায় তার স্ত্রী।
তিনি আরও জানান, কার্তিক দাস কুমিল্লা নগরীর মোগলটুলীতে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সন্ধ্যার পূর্বে বাসায় আসেন। বাইরে একটু ঘুরাফেরা করে বাসার দোতলায় গিয়ে ছাদের এঙ্গেলের সাথে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
তবে স্ত্রী মাধুরী দাস বলেছেন, তার স্বামী কার্তিক দাস নেশাগ্রস্ত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময় নেশা করে বাড়িতে ফিরতেন। এই নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব তৈরি হতো।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন এবং কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাউদ্দিন মরদেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসেন। তানভীর সালেহীন ইমন বলেন, পুলিশ মরহেদ উদ্ধার করেছে। পরিদর্শনে প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে যুবকটি আত্মহত্যা করেছে। তিনি মৃত্যুর পূর্বে একটি চিরকুট লিখে গেছেন। ওই চিরকুটে তিনি কাউকে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী করে যাননি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার