লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে শ্বশুরবাড়ি থেকে মো. আল-আমিন (২৭) নামে এক যুবকের (জামাই) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। এর আগে উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের বাতামতলী এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি, মারধর করে বিষ খাইয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তবে পুলিশ বলছে, থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। নিহত আল-আমিন একই উপজেলার মাতাব্বর হাট এলাকার বেলায়েত হোসেনের ছেলে। সে পেশায় জেলে।
নিহতের দুই ভাই মো. জসীম ও জুলহাস জানান, ৭ ভাইয়ের মধ্যে আল-আমিন সবার ছোট। ৩ বছর আগে স্থানীয় বাতামতলী এলাকার আজাদের মেয়ে নাজমা আক্তারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে নাহিদ নামে দেড় বছর বয়সের এক ছেলে সন্তান আছে। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল তাদের। শনিবার বিকালে আল-আমিন তার শ্বশুর বাড়িতে যায়। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে সে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পান তারা। খবর পেয়ে পুলিশ রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় তার শ্বশুর বাড়ির ৩ জনকে আটক করা হয়। পরে রহস্যজনক কারণে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। রবিবার দুপুরে তার মরদেহটি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতের দুই ভাইয়ের অভিযোগ পরিকল্পিতভাবে তাকে তার শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্ত্রী হত্যা করে এখন আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তারা।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন জানান, নিহত আল-আমিনের শ্বশুরবাড়ির ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছড়ে দেয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদন ও অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব