বগুড়ার ধুনট উপজেলায় রিতা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত রিতা খাতুন উপজেলা সদরের বেলকুচি গ্রামের নুরুন্নবী হোসেনের স্ত্রী। শনিবার রাতে স্বামীর ঘর থেকে রিতার মৃতদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। রবিবার সকালে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
বগুড়ার ধুনট থানা পুলিশ সদস্যরা জানায়, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আনিছুর রহমানের মেয়ে রিতা খাতুনের সঙ্গে প্রায় ২ বছর আগে ধুনট উপজেলা সদরের বেলকুচি গ্রামের বুলু মিয়ার ছেলে নুরুন্নবীর বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে এক সন্তান রয়েছে। নুরুন্নবী পেশায় কাঠমিস্ত্রি।
শনিবার দুপুরে স্বামীর ঘরে তীরের সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় রিতার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় প্রতিবেশীরা। এ সময় রিতার স্বামী নুরুন্নবীকে বাড়িতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে রিতার ৯ মাস বয়সের সন্তান ঘরের ভেতর ঘাটের উপর বিছানায় শুয়ে ছিল। পরে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে রিতার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
রিতার মামা ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, আমার ভাগ্নিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুঁলিয়ে রেখে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে নুরুন্নবী হোসেন। এ ঘটনায় থানায় মৌখিক অভিযোগ দিলে পুলিশ তা আমলে নেয়নি। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের আলোকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব