গোপালগঞ্জে ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বন্ধের প্রতিবাদের মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধারা ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধন অংশ গ্রহনকারীরা অনতিবিলম্বে ভাতা চালু করাসহ ২০১৭ সালের যাচাই-বাছাই কমিটির তালিকা প্রকাশ, নতুন করে অনলাইনে যাচাই-বাছাইয়ের গেজেট প্রকাশ এবং জাতীয়
মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)-এর আপিলকৃতদের অবিলম্বে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে তালিকা প্রকাশের দাবি জানান।
মুক্তিযোদ্ধারা জানান, জামুকা'র মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাচাই নির্দেশিকা, ২০১৬ সালের নির্দেশনা, উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটি কর্তৃক ২০১৭ সালের ১২ জুন তারিখের আবেদন নামঞ্জুর করে ২৪৬ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ১০৫ জনকে ভাতা বন্ধের নোটিশ দেন। এর মধ্যে ৬৭ জনের বর্তমানে ভাতা বন্ধ রয়েছে।
তারা অভিযোগ করে বলেন, গেজেটে ও সনদ নম্বর ভুল উপস্থাপন করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে
যাচাই-বাছাই কমিটি তাদের আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরে ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত পরিপত্র নং-৪৮.০০.০০০০.০০৬.০১৯.১৭.৩৬৭-তে স্পষ্ট উল্লেখ আছে উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটি কর্তৃক যে সব মুক্তিযোদ্ধাদের আবেদন নামঞ্জুর করেছে, সে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের আপিল জামুকায় করা থাকলে তাদের ভাতা বন্ধ হবে না। কিন্তু হঠাৎ করে এ বছর এপ্রিল মাস থেকে তাদের ভাতা বন্ধ করে দেয়া হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন শাহজাহান মিয়া, মোহাম্মদ আলী মোল্যা, মোঃ মোহর আলী প্রমূখ। মানববন্ধনে অংশ নেয়া গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হাবিবুল্লাহ মোল্যা, লুৎফর রহমান খান, মাবিয়া বেগম, মোহর আলী, চন্দ্রদিঘলিয়ার সাহাদত হোসেন অভিযোগ করে বলেন,
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডারকে টাকা দেয়ার কথা বলে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উরফি গ্রামের সাহাদত মুন্সি টাকা নিয়েছেন।
তারা আরও বলেন, কারও কাছ থেকে ৫০ হাজার, আবার কারও কাছ থেকে আরও বেশি টাকা নেয়া হয়েছে। কিন্তু যাদের কথা বলে টাকা নেয়া হয়েছে তারা কোন কাজ করেনি। তারা কারো কাছ থেকে কোন টাকা নেননি বলেও জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বদরুদ্দোজা বদর টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, কোন মুক্তিযোদ্ধাকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। যাচাই বাছাইতে যে সব মুক্তিযোদ্ধা “গ” তালিকাভূক্ত হয়েছেন তাদের ভাতা বন্ধ করা হয়েছে। তারা আপীল করেছেন। আপীলের মাধ্যমে তারা বহাল হলে পুনরায় তাদের ভাতা চালু হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ