রংপুরের পীরগঞ্জে সোহেল নামের এক অসহায় যুবককে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের পর সিগারেটের আগুনের ছ্যাঁকা দিয়ে সারা মুখ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ ঘটনায় প্রভাবশালীদের চাপে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ মামলা না নেওয়ায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই ফিরোজ মিয়া সোমবার পুলিশ সুপারেরর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে জানা গেছে, আহত সোহেল মিয়ার সঙ্গে প্রভাবশালী রুমান মিয়ার গত ১ মাস আগে চেয়ারম্যানের বিলের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা হয়। গত ২৩ অক্টোবর সোহেল মিয়া সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় বাজিতপুর রাস্তায় হাঁটতে থাকলে (১) রুমান মিয়া (৩০), ইদ্রিস আলী (৪৮), জেলা মিয়া (৪৫), হাসান মিয়া, (৪০) গোলাম মওলা (৪৮), স্বাধীন মিয়া (৫০) তাকে টেনে হেঁচড়ে রুমন মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় রুমান মিয়া সোহেল মিয়াকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে সকলে মিলে হাত পা বেঁধে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গালে, মুখে, গলায় সিগারেটের আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সোহেলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে না নিয়ে ফেরত আসে। পরে তারা সোহেলকে পীরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করান।
পীরগঞ্জ থানার ওসি সরোস চন্দ্র সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, সে তো পেশায় গরু চোর, চুরি করতে গিয়েছিল বিধায় জনগণ তাকে মারধর করেছে। তাই তার পক্ষ থেকে কোন মামলা গ্রহণ করা হয়নি।
রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার জানান, কেন নিপীড়িত মানুষের মামলা নেওয়া হয়নি, তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন