বেনাপোল স্থলবন্দরের বাইপাশ সড়কে পাথর লোড-আনলোড করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় বন্দরের ৪ শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে বেনাপোল’র ছোট আঁচড়া বাইপাস সড়কে এ ঘটনাটি ঘটে। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বেনাপোল বন্দরে সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সকল প্রকার মালামাল লোড-আনলোডসহ খালাশ প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। হামলার প্রতিবাদে কয়েক হাজার বন্দর শ্রমিকর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বন্দর এলাকায়।
আহতরা হলো- বেনাপোল পোর্ট থানার খড়িডাঙ্গা গ্রামের দীন মোহাম্মদের ছেলে কালাম (৩৪), রঘুনাথপুর গ্রামের জান আলীর ছেলে দুলু (৪০), দৌলতপুর গ্রামের মিজানের ছেলে শরিফুল (৩৮) ও বাবলুর ছেলে শামীম (৪২)। আহতরা সবাই বেনাপোল বন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিক।
আহত শ্রমিক দুলু জানান, তিনি ও তার গ্রুপের শ্রমিকরা সবাই মিলে বেনাপোল ছোট আঁচড়া বাইপাস সড়কে আমদানিকৃত পাথর লোড-আনলোডের কাজ করতে যান। এসময় একদল সন্ত্রাসী প্রাইভেট কারে এসে কর্মরত শ্রমিকদের ওপর গাড়ি চালিয়ে দেয়। গাড়িতে থাকা সন্ত্রাসীরা লাঠিসোঁটা, বোমা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শ্রমিকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তিনিসহ তার দলের ৪ শ্রমিক আহত হন। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান স্থানীয় জনগণ।
পরে খবর পেয়ে বেনাপোল বন্দরের কয়েক’শ শ্রমিক লাঠিসোঁটা নিয়ে যশোর বেনাপোল মহাসড়কের বেনাপোল বাজারে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল করে। সন্ত্রাসীদের আটকের দাবিতে বন্দরের সকল প্রকার পন্য লোড-আনলোডসহ পণ্য খালাশ বন্ধ করে দেয়। দুপুরের দিকে পুলিশ দিঘিরপাড় গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই গ্রামের রহমানের ছেলে রায়হানকে (৩০) আটক করে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বেনাপোল পোর্টথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খাঁন, উপজেলা আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন। তারা বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সাথে কথা বলে তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে আটক করা হবে এ ধরনের শর্তে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কর্মে ফিরে যান।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান জানান, শ্রমিকদের সাথে কথা বলে হামলাকারীদের আটকের আশ্বাস দিলে তারা দ্রুত সময়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে বন্দরে কাজে ফিরে যান। এ ঘটনায় বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার