অভিনব এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ। যিনি বিভিন্ন তদবির নিয়ে ফোন করতেন সরকারি উচ্চ পদস্থ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের। পরিচয় দিতেন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছের লোক হিসেবে।
তবে এই ‘অতি চালাকের গলায় রশি পড়ে’ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসপিকে ফোন দিয়ে। ধরা পড়েন ঝালকাঠির ইয়াসিন।
জানা গেছে, ইয়াসিন একেকে জায়গায় নিজেকে একেক নামে পরিচয় দিতেন। কখনও প্রভাবশালী ব্যক্তি ছোট ভাই। আবার কখনও পুলিশের পদস্থ ব্যক্তির খুব কাছের লোক হিসেবে পরিচয় দিতেন তিনি। সরকারি বিভিন্ন দফতরে তদবির করে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই ছিল তার প্রধান লক্ষ্য।
কথায় আছে “চোরের ১০ দিন, আর গৃহস্থের একদিন”। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসপিকে ফোন দেওয়াটাই কাল হয়ে দাঁড়ায় তার। প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক নেতার ছোট ভাই হিসেবে পরিচয় দিয়ে তদবির করেন ইয়াসিন। নিজের নাম বলেন খন্দকার বাবর। কনস্টেবলের চাকরির জন্য তদবির করেন তিনি।। কথায় অসঙ্গতি পাওয়ায় তার ওপর নজর রাখে আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এরপর ধরা হয় তার সহযোগী আব্দুর রহিমকে। পরে বরিশাল কোতয়ালী থানা এলাকা থেকে শুক্রবার রাতে আটক করা হয় ইয়াসিনকে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা তাকে ধরার জন্য এক ফাঁদ পেতেছিলাম। আমাদের বিভিন্ন কর্মকর্তা তার সঙ্গে আলাপচারিতা চালিয়ে গেছেন। তার কথা সায় দিয়েছেন। এক পর্যায়ে একজন এএসআই-কে তার পেছনে লাগিয়েছি, যাতে তিনি বিশ্বাস করেন যে পুলিশ তাকে বিশ্বাস করেছে। এভাবেই তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, ইয়াসিনের প্রতারণার শিকার একজন এরই মধ্যে নবীনগর থানায় মামলাও করেছেন। প্রতারণার শিকার ইয়াসিন মিয়া জানান, প্রথমে ইয়াসিন আমার কাছ থেকে ১ লাখ টাকা নেয়। এরপর যেদিন পুলিশ লাইনসে দাঁড়াই সেদিন আবার ২৫ হাজার ও পরে আরেকবার ১০ হাজার টাকা নেয়। এভাবে বিকাশের মাধ্যমে সে আমার টাকাগুলো নেয়। কিন্তু আমার চাকরি হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ইয়াসিনের বাড়ি ঝালকাঠি সদরের লালমোহনে। নিজ এলাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে তার নামে আছে নানা প্রতারণার অভিযোগ। সূত্র: যমুনা টিভি
ভিডিওটি সংগৃহীত:
বিডি প্রতিদিন/কালাম