বগুড়ায় ক্রেতা সেজে একটি হনুমান, ৮টি ঘুঘু, ১০টি মুনিয়া পাখি ও ৪টি পাতিসরালী হাঁস উদ্ধার করল পরিবেশবাদী একটি সংগঠনের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার হনুমান উদ্ধার করে রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে এবং উল্লেখিত পাখিগুলি মুক্ত করে দেয়া হয়।
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের ছাত্রদের পরিবেশবাদী সংগঠন তীরের সদস্যরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বগুড়া সদরের সাবরুলের এরুল বাজার এলাকার দেওরগ্রাম দক্ষিণ পাড়া থেকে একটি হনুমান উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর হনুমানটি বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ রাজশাহী ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ফেসবুকে পোস্ট দেখে ক্রেতা সেজে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি এলাকার ফয়সালের বাড়িতে যায় আজিজুল হক কলেজের পরিবেশবাদী সংগঠন তীরের সদস্যরা। ফয়সালের কাছে ৪টি পাতিসরালী হাঁস প্রতিটি ৫ হাজার টাকা দরে ক্রয়ের করার কথা বলে তা কৌশলে উদ্ধার করা হয়। এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া শহরের মালগ্রাম ডাবতলা এলাকায় পাখি ব্যবসায়ি খসরুর বাড়ি থেকে ৮টি ঘুঘু ও ১০টি মুনিয়া পাখি উদ্ধার করা হয়। পরে দুপুরে বগুড়া আজিজুল কলেজ ক্যাম্পাসে পাখিগুলো মুনিয়া, ঘুঘু পাখি ও পাতিসরালী হাঁস মুক্তভাবে ছেড়ে দেয়া হয়।
পাখিগুলো ছেড়ে দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া আজিজুল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শাজাহান আলী, কলেজের ফাইন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান, দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফজলে বারী, রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মতিউর রহমান, আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ, আনোয়ারুল, পরিবেশবাদী তীর'র সভাপতি আরাফাত রহমান, সদস্য মিজানুর রহমান, সাব্বির আহমেদ, রাকিব, হিমুসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন (রাজশাহী) ইউনিটের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক অসীম মল্লিক জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মুনিয়া, ঘুঘু ধরা এবং ক্রয় বিক্রয় আইনত নিষিদ্ধ। হনুমান যেটি উদ্ধার করা হয়েছে তার আবাস স্থল যশোরে কেশবপুরে। যশোর থেকে কলার ট্রাকের উপরে কলা খেতে খেতে তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায়। এ পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলের বগুড়া থেকে ২টি, পাবনা ও জামালপুর থেকে ১টি করে হনুমান উদ্ধার করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার