ঢাকা থেকে লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে সন্তানের জন্ম দেন রুবিয়া খাতুন নামে এক মা। সোমবার সকাল সোয়া ৭টায় ট্রেনটি বগুড়া রেলস্টেশন এসে থামে। এরপর ওই ট্রেনের কিছু যাত্রী ওই নবজাতক ও প্রসূতিকে স্টেশনে নামিয়ে দেন এবং তারা যে যার মতো চলে যান। কিন্তু প্রসূতি ওই নারীর শারীরিক অবস্থা ছিল গুরুতর। রক্তক্ষরণ হচ্ছিল এবং অচেতন অবস্থায় ছিলেন তিনি।
এমন সময় সেখানে অবস্থান করছিলেন স্টেশনের কর্মী সাগর মাহমুদ। সকাল ৭টা ৩৬ মিনিটে বগুড়া রেলস্টেশন থেকে সাগর মাহমুদ উদ্বিগ্ন হয়ে জাতীয় হেল্পলাইন ৯৯৯ নম্বরে কল করে জরুরি উদ্ধার সহায়তা চান। তিনি বগুড়া রেলস্টেশনের কর্মী বলে পরিচয় দেন। ৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে ওই ব্যক্তিকে বগুড়া ফায়ার স্টেশনের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন এবং দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
সংবাদ পেয়ে বগুড়া ফায়ার স্টেশনের একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায়। পরবর্তীতে বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল ৯৯৯ কে জানায়, তারা অসুস্থ প্রসূতি নারী মোছা. রুবিয়া খাতুন (২৮) ও তার নবজাতক ছেলে সন্তানকে উদ্ধার করে বগুড়া জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে দিয়েছেন। তাদের বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল