বাংলাদেশ বিমান বাহিনী রবিবার বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠার ৫৪ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জন্ম নেয়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এই দিনটিকে ‘বিমান বাহিনী দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। ১৯৭১ সালে দেশের আপামর জনতার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিমান বাহিনীর অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তান বিমান বাহিনীর পক্ষ ত্যাগ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
এয়ার ভাইস মার্শাল আব্দুল করিম খন্দকার, বীর উত্তম, পিএসএ (অব.) মহান মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফের দায়িত্ব পালন করেন। সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণের পাশাপাশি বিমান বাহিনীর সাহসী সদস্যগণ সেক্টর কমান্ডারের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়াও, এয়ার ভাইস মার্শাল সুলতান মাহমুদ, বীর উত্তম, এসিএসসি, (অব.) কিলো ফ্লাইটের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।
রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনগুলোতে যুদ্ধের গতি-প্রকৃতিকে সম্পূর্ণ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য একটি স্বতন্ত্র বিমান বাহিনী গঠনের প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভূত হয়। আর এ লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর একটি অটার বিমান, একটি ড্যাকোটা বিমান ও একটি অ্যালুয়েট হেলিকপ্টার এবং বাঙালি বৈমানিক, কারিগরি পেশার বিমানসেনা ও বেসামরিক বৈমানিকসহ ৫৭ জন সদস্য নিয়ে ভারতের নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে ‘কিলো ফ্লাইট’ নামে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী যাত্রা শুরু করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ৫০টিরও অধিক বিমান অভিযান সাফল্যের সাথে পরিচালনার মাধ্যমে ‘কিলো ফ্লাইট’ মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল।
এই দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীর সকল ঘাঁটি, ইউনিট ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কন্টিনজেন্টসমূহে (BANAIR) বিমান বাহিনীর ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, মসজিদগুলোতে দোয়া ও মোনাজাত এবং প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার, তেজগাঁও-এ ঢাকা এলাকার বিমান বাহিনীর সকল সদস্য ও প্রাক্তন বিমান বাহিনী প্রধানগণের উপস্থিতিতে সমন্বিত প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই