পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২২ বছর পূর্তি উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করা হয়েছে। পার্বত্য জেলা পরিষদ ও খাগড়াছড়ি রিজিয়নের উদ্যোগে আজ সোমবার পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শান্তির পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
এরপর টাউনহলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এতে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও বাঙ্গালিসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের হাজারো মানুষ বিভিন্ন বর্ণিল পোশাকে অংশ নেন।
শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন তিন পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ফয়জুর রহমান, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, বিজিবি‘র সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল গাজী মো: সাজ্জাদ, ডিজিএফআই এর ডেট কমান্ডার কর্নেল নাজিম উদ্দিন, জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, পৌর মেয়র মো.রফিকুল আলম প্রমুখ।
আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা তৃতীয়পক্ষের সমঝোতা ছাড়াই ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেন। তারা বলেন, চুক্তির কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এম.এন লারমা সমর্থিত সংস্কার গ্রুপ) শহরে এক বিশাল র্যালি বের করে। র্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পানখাইয়া পাড়ায় মারমা সংসদ কার্যালয়ের কমিউনিটি সেন্টারে এক সমাবেশ করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুধাখর ত্রিপুরা
বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বিমল জ্যোতি চাকমা, মহালছড়ির উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান কাকলী খীসা, ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে আগত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। বক্তরা দীর্ঘ ২২ বছরেও শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন না হওয়ার অভিযোগ এনে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।
শোভাযাত্রায় রাঙ্গামাটি,বান্দরবান ও জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকেও নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা