চুয়াডাঙ্গার আকাশ শনিবার সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে। এর ফলে শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘব হচ্ছে না। সকাল ৯টায় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়া বইতে দেখা গেছে।
শনিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দুই দিনের চেয়ে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। এ কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
সারাদেশে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এ ধারা চুয়াডাঙ্গাতের অব্যাহত রয়েছে। তীব্র শীতে কষ্টে রয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। শ্রমিক শ্রেণির মানুষেরা কাজে যেতে পারছেন না। শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকেই কষ্ট পাচ্ছেন বলে জানান কয়েকজন নিম্ন আয়ের মানুষ।
চুয়াডাঙ্গায় সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে আকাশ। রাস্তায় চলাচল করা যানবাহনগুলো আলো জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। খেটে খাওয়া মানুষেরা পেটের তাগিদে শহরে ছুটে আসলেও তাদের কর্মসংস্থান হচ্ছে কম। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা।
এদিকে গত কয়েক দিনের মৃদু শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে চুয়াডাঙ্গা শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গত তিন দিনে এ ধরনের রোগীর ভীড় দেখা গেছে।
আবহাওয়া অফিসের মতে, ভৌগলিক কারণে চুয়াডাঙ্গাতে বরাবরই শীতের সময় বেশি শীত এবং গরমের সময় বেশি গরম অনুভূত হয়। তবে চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে জেলায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। চলতি বছর ইতিমধ্যেই পরপর দুদিন (১৯ ও ২০ ডিসেম্বর) চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মো. রকিবুল হাসান বলেন, দু’এক দিনের মধ্যেই তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে না। কারণ আগামী ২৫ তারিখ রাত থেকে ২৭ তারিখের মধ্যে শীতকালীন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সেসময় শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা