কনকনে শীতল হাওয়ায় ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের মানুষের। দিনাজপুরে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস ওঠানামা করছে। শনিবার এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনভর দেখা মেলেনি সূর্যের। সেইসাথে বইছে উত্তরের কনকনে শীতল বাতাস।
টানা কয়েকদিনের কুয়াশা ও মৃদু শৈত্য প্রবাহের কারণে অসহায় ছিন্নমূল মানুষের জীবন-যাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় না থাকায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে জীবনযাপন করছে এ জনপদের গৃহহীন ছিন্নমূল মানুষগুলো। বিশেষ করে সন্ধ্যাবেলা এবং সকালে শীতের দাপটের কাছে অসহায় মানুষগুলো খড়-কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে। প্রচন্ড শীতে চরম কষ্ট ভোগ করছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
শীতের প্রকোপ বাড়তে থাকায় শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে বেড়েছে বেচাকেনা। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন, কারণ এত ঠান্ডা আর দিন ছোট হওয়ায় কাজ কমে গেছে তাদের। এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে দিনাজপুরে চিতই ও ভাপা পিঠার ব্যবসাও জমে উঠেছে।
ভোরের দিকে কুয়াশায় ঢেকে থাকে মাঠ-ঘাট-সর্বত্র। রাত ১০টার পর থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় মাঠ। রাত বাড়ার সাথে শহরের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং রাস্তা-ঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। সন্ধ্যার পর থেকেই ঝরতে থাকে কুয়াশা। সকালেও সড়ক মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
দিনাজপুর শহরের শ্রমিকের হাট হিসেবে পরিচিত রয়েছে ষষ্টিতলা মোড়। এ মোড়ে শ্রমিকরা দিন হাজিরা ভিত্তিতে কাজ করে থাকেন। কয়েকজন শ্রমিক জানান, সারাদিন কাজ করে সন্ধ্যায় বাজার নিয়ে বাড়ি যান তারা। কিন্তু শীতের প্রকোপ বাড়ায় কেউ কাজে ডাকে না। এতে তাদের কষ্ট বেড়েছে।
আবহাওয়া অফিসের তোফাজ্জুর রহমান জানান, শনিবার এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীকাল রবিবার তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল