১৭ জানুয়ারি, ২০২০ ১৮:৫৭

‘ফসলের দাম না পেলে এবার কৃষক ধর্মঘট ডাকতে বাধ্য হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর:

‘ফসলের দাম না পেলে এবার কৃষক ধর্মঘট ডাকতে বাধ্য হবে’

ফাইল ছবি

তেভাগা আন্দোলনের অন্যতম নেতা, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সশস্ত্র বিপ্লবী, প্রখ্যাত কমিউনিস্ট নেতা অমল সেনের ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শুক্রবার। এই নেতার সমাধিস্থল যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বাকড়িতে প্রতিবছর এই দিনটি বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। কিন্তু এবার পার্টি বিভক্ত হয়ে যাওয়ায় অমল সেনের মৃত্যুবার্ষিকী পালনের ওপরও এর প্রভাব পড়েছে। অমল সেন স্মৃতি রক্ষা কমিটির আয়োজনে আজকের কর্মসূচিতে অংশ নেন রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বাধীন ওয়ার্কার্স পার্টি। আর শনিবার দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচিতে যোগ দেবেন ওয়ার্কার্স পার্টি মার্কসবাদীর নেতারা।

আজ বিকেলে বাকড়ি স্কুল মাঠের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘গত ১১ বছরে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে, অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু সেই উন্নয়নের সাথে আমাদের সাধারণ মানুষ কতটুকু যুক্ত হতে পেরেছে, সেটা আজকে পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। কারণ, আজকে যদিও এক লক্ষ ৪০ হাজার কোটিপতির জন্ম হয়েছে, দারিদ্রসীমার নীচের লোকজনের সংখ্যা শতকরা হারে কমে এসেছে, তারপরও এখনও বিভিন্ন জেলায় সেই হার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ’। 

তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি, মানুষ আরও গরীব হয়েছে। কৃষক যে ফসল ফলায় সেই ফসলের দাম পায় না। কৃষক আজ অনেক বড় অনিশ্চয়তার সম্মুখীন। আমন মৌসুম চলে যাচ্ছে, এখনও কৃষক তার ধান ঘর থেকে সরকারি গুদামে দিতে পারেনি। যাদের ঘরে ধান নেই, যারা ধান চাষ করেনি, লটারির নামে ধান কিনে নিচ্ছে’। 

মেনন বলেন, ‘সামনে বোরো ফসল। শীতের কারণে সেই বোরোর বীজতলা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপরও কৃষক জান দিয়ে বোরো ফসল করবে। কিন্তু আমরা হুশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, এবার যদি কৃষক তার ধান, সবজির দাম না পায়, তাহলে কৃষক এবার তার ফসলের নায্য দাম পেতে ধর্মঘটের ডাক দিতে বাধ্য হবে। অমল সেন সেই পথই আমাদের দেখিয়ে গেছেন’। 

অমল সেন স্মৃতি রক্ষা কমিটির সহ-সভাপতি ও ওয়ার্কাস পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তৃতা করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, পলিটব্যুরো সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, ড. সুশান্ত দাস, নূর আহমেদ বকুল, মুস্তাফা লুৎফুল্লাহ ও পার্টির বিভিন্ন জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রমুখ। এর আগে নেতৃবৃন্দ অমল সেনের স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করেন।

অমল সেন শেষ জীবনে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ছিলেন। সে কারণে গত প্রায় দেড় যুগ ধরে এই নেতার মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে যশোরের বাকড়িতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন ওয়ার্কার্স পার্টির শীর্ষ নেতারা। এবারও দুদিনের আয়োজনের মধ্যে আছে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর