ডা. মো. ফজলে রাব্বী বলেন, ঝাড়ফুঁক নয় আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে জলাতঙ্ক রোগ ভালো হয়। কুকুর, বিড়াল, বানর, বেজি ও শিয়ালসহ বন্যজন্তু কামড় দিলে সঙ্গে সঙ্গে কাপড় ধোয়ার সাবান অথবা ডিটার্জেন্ট পাউডার ক্ষত স্থানে ২০ মিনিট ধরে পরিষ্কার করতে হবে। তাহলে জলাতঙ্ক রোগের জীবাণু ৭০ ভাগ নষ্ট হয়ে যায়। এরপরে হাসপাতালে গিয়ে জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন নিলে জলাতঙ্ক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কুকুরের কামড় ব্যাপারটি সামান্য বিষয় মনে করে অনেকে ঝাড়ফুঁক, কবিরাজি ও টোটকা চিকিৎসা করবেন না। বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসায় ভ্যাকসিন দ্বারা জলাতঙ্ক রোগ নির্মূল করা সম্ভব।
২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে জলাতঙ্ক নির্মূলের লক্ষ্যে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় এক উদ্বুদ্ধকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার বীরগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে হলরুমে সিভিল সার্জন অফিস দিনাজপুর এর আয়োজনে এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালী ঢাকা’র সহযোগিতায় এই উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বীরগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালী ঢাকা’র মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ফজলে রাব্বী।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক