লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামির ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শাহেনুর এ রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কফিল উদ্দিন, জয়নাল আবদীন ও আবদুর রহমান। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ইয়াছিন আরাফাত রাফি, জুলফিকার আলী, মোক্তার হোসেন, জালাল আহমদ ও খোরশেদ আলম। রায়ের সময়ে আদালতে সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে কফিল উদ্দিন ছাড়া অন্যরা উপস্থিত ছিলেন না।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২২ মে রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান ভূঁইয়াকে বাড়ি থেকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরে নিজ বাড়ির পাশের রাস্তার উপর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার ৪ দিন পর নিহতের স্ত্রী আঞ্জুমানারা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ২ জুন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত করে ৮ জনের বিরুদ্ধে আদলতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ ও শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
এদিকে, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন মামলার রায়ের পর সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান ভূঁইয়াকে বিএনপির সন্ত্রাসীরা গলা কেটে হত্যা করে। আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণে এটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে এ রায় দেন।
তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী একেএম হুমায়ুন কবির আদালতের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আসামিদের মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব