করোনাভাইরাস সংক্রামক প্রতিরোধের জন্য সরকারি ছুটির প্রথম দিনে সকাল থেকে সেনাবাহিনী জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টহল অব্যাহত রেখেছে। তারা সকলকে মাস্ক পরিধাণ করতে ও লোকসমাগম এড়িয়ে চলাফেরা করার পরামর্শ দিচ্ছে। কিন্তু গ্রামের হাটবাজারগুলোতে বিকেল না হতেই বেড়ে যাচ্ছে লোক সমাগম। অব্যাহত প্রচার প্রচারনার পরও গ্রামের মাুনুষের মাঝে করোনা আতঙ্ক তেমনটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এটি বড় উদ্বেগের বিষয় বলে মনে করছেন লালমনিরহাটের সির্ভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায়।
তিনি বলেন, গ্রামে গ্রামে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা এই ভাইরাসের বিষয়ে অবগত করলেও অঞ্জ ও অশিক্ষিত অধিকাংশ মানুষই বিষয়টিকে আমলে নিচ্ছে না । ফলে এটি বড় দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জেলার শিয়াল খোওয়া, বড়বাড়ি, দলগ্রাম, সাপ্টিবাড়িসহ বেশ কিছু গ্রামের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেল, তাদের অধিকাংশই করোনাভাইরাস সম্পর্কে জানেন না। অনেকেই জানান, কাজ করে খাই করোনা টরোনা বুঝি না, এসব ভাইরাস গ্রামে আসবে না, শহরেই থাকবে।তবে জেলা প্রশাসক আবু জাফর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টহল অব্যাহত রয়েছে যেখানে লোক সমাগম থাকবে সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশেনা দেওয়া আছে। গ্রামে একটু সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, আজকালের মধ্যেই সব নিয়ন্ত্রণে আসবে।
অন্যদিকে জেলা শহরের সকল দোকান পাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হোটেল রেস্টুরেন্ট শপিং মল সহ সকল মার্কেট বন্ধ রয়েছে। তবে জেলার বেশ কিছু স্থানে বেশ কিছু মটর সাইকেল অটোসহ সাধারণ মানুষ বিধিনিষেধ না মেনেই কোনো কারণ ছাড়াই চলাচল করলেও শৃংখলা বাহিনী কিংবা পুলিশ প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করার দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। একইভাবে প্রধান কাঁচাবাজার সেনা মৈত্রী বাজারে যেন হাট বসেছে দলে দলে লোক আসছে বাজার করতে। সেখানে প্রচণ্ড ভীড় লক্ষ্য করা গেলেও কোনো পদক্ষেপ নেই।
এদিকে জেলায় এখন পর্যন্ত ১৮৭ হোম কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সির্ভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায়।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম