সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় দুই ফসলি জমিতে এবার 'সূর্যমুখী' চাষ করে সফল হয়েছেন পুরস্কার প্রাপ্ত কৃষক জাবের আহমদ। দু’বার ধান চাষের মধ্যবর্তী সময়ে, শারীরিক পরিশ্রম ও সামান্য খরচায় পুঁজির অধিক লাভের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন তিনি। এর আগে জিংক সমৃদ্ধ ধান, ক্যাপসিকাম, সরিষা, ভূট্টা, চেরি, টমোটো, ব্রকলি, রেড ক্যাবেজ ও নাগা মরচি চাষেও সাফল্য অর্জন করেন জাবের।
সরেজমিন তার ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কালিগঞ্জের আলাপুর গ্রামে বাড়ির পাশেই তিনটি জমিতে হয়েছে সূর্যমুখীর চাষ। হলদে ফুলে ছেয়ে গেছে মাঠ। পুষ্ট হয়েছে তৈলবীজ। এবার কেবল বীজ সংগ্রহের পালা।
তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, দু’বার ধান চাষ করার মধ্যখানে বেশ কিছু সময় অনাবাদি থাকছে জমি। ওই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি সূর্যমুখী চাষ করেন। এবার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে পাওয়া প্রর্দশনীর আওতায় ৩৩ শতক জমিতে লাগান হাইব্রিড জাতের ‘হাইসান-৩৩’ সূর্যমুখী।
গেল ২০ ডিসম্বর জমিতে বপন করা হয় বীজ। নিজ উদ্যোগেও চাষ করা হয় আরো ৪৫ শতক জমি। চাষ ও ফসল রক্ষনাবেক্ষণে কৃষি অফিসের সহায়তার পাশাপাশি তার নিজের ব্যয় হয় মাত্র ৭ হাজার টাকা। তার আশা, ৩ কেজি বীজে, ৭৮ শতক জমি থেকে উৎপাদন হবে ২০-২৫ মন তৈলবীজ। প্রতি মনে পাওয়া যাবে ১৭-১৮ লিটার তৈল। লিটার প্রতি ২৭০-২৮০ টাকা
ধরে বিক্রি করলেও, এ থেকে মুনাফা হবে ১ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, মাটি কাউকে নিরাশ করে না। প্রত্যেকটা জমি কাজে লাগিয়ে একটু পরিশ্রম করলেই কৃষিতে সফলতা সম্ভব। সূর্যমুখী’র তৈল নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত। প্রত্যেকে এভাবে একটু করে চাষ করলে তৈল সংক্রান্ত জটিল অসুখ থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সুস্বাস্থের জন্যে সূর্যমুখীর তেলের বিকল্প নেই। এতে নেই ক্ষতিকারক ইরোসিক এসিড। হৃদরোগীদের জন্যে এটি খুবই উপকারী। আমাদের উপজেলায় প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। আশারাখি ভালো ফলন হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ