পাহাড়ে প্রবেশে বিধি নিষেধ থাকলেও ঠেকানো যাচ্ছে না। আইন মানতে নারাজ মানুষ। করোনাভাইরাসের মধ্যেও মানুষ দলে দলে আসছে পাহাড়ে। তাতেই দেখা দিয়েছে নানা শঙ্কা। উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় স্থানীয়রা। তবে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। নেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসে কালো মেঘে যখন ঢেকে আছে পুরো পৃথিবী। ঠিক তখনই মানুষকে সচেতন করতে করা হয় জেলায় জেলায় লকডাউন। পাহাড়েও নেওয়া হয় একই ব্যবস্থা। পাহাড়ের মানুষকে করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে প্রবেশের উপর দেওয়া হয় কঠোর নিদের্শনা। কিন্তু তবুও বন্ধ করা যায়নি মানুষের প্রবেশ। প্রায় প্রতিদিন আসছে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ।
জানা গেছে, বুধবারও ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় আসে প্রায় ৪২মানুষ। যারা পেশায় শ্রমিক। খবর পেয়ে তাদের লংগদু ইপজেলার উপজেলার করল্যাছড়িতে আটক করে পুলিশ।
রাঙামাটির লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মোহাম্মদ নুর জানান, করোনাভাইরাসের মধ্যেও নারায়ণগঞ্জ থেকে লংগদুতে এসেছে ৪২ জন নারী পুরুষ। তাদের সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। তারা করোনা আক্রান্ত কিনা সে বিষয় নিশ্চিত করা হচ্ছে। আর লক্ষণ জানার জন্য তাদের আপাতত ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ মে নারায়ণগঞ্জ প্রথমে ৯৪ জন মানুষ লংগদুতে প্রবেশ করে। তারা সবাই লশাখালী, কালাপাকুজ্জা ও মাইনীমুখ ইউনিয়নের বাসিন্দা। এছাড়া দ্বিতীয় দফায় আসা ৩৩ জন সকলেই কালাপাকুজ্জা ইউপির বাসিন্দা এবং ১৩ মে আগত ৪২ জন শ্রমিক ছিল কালাপাকুজ্জা ইউনিয়নের।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন