যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যে উত্তেজনার দৃশ্যমান রূপ আরও শক্তিশালী হলো। দক্ষিণ ক্যারিবীয় অঞ্চলে এর আগে একাধিক যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন মোতায়েন করেছে মার্কিন প্রশাসন। এবার বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ক্যারিবীয় সাগরে মোতায়েন করেছে তারা। যেটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী রণতরী।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ড (সাউথকম) জানায়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের নির্দেশনা অনুযায়ী রবিবার এ রণতরী পাঠানো হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অপরাধী নেটওয়ার্ক ভাঙনের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতেই এই পদক্ষেপ।
এই রণতরীতে আছে, ৪ হাজারের বেশি নাবিক ও ১২টি ট্যাকটিক্যাল বিমান। এটি মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করবে। এর মধ্যে রয়েছে আইও জিমা অ্যামফিবিয়াস রেডি গ্রুপ ও মেরিন এক্সপেডিশনারি ইউনিট। এসব ইউনিটের লক্ষ্য অঞ্চলটির মাদক পাচার ওঅপরাধী নেটওয়ার্ককে মোকাবিলা করা।
এদিকে গতকাল রবিবার সাউথকম জানায়, পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে আরও একটি নৌযানে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে সন্দেহভাজন তিন মাদক পাচারকারী নিহত হয়েছেন। মাদক পরিবহনে জড়িত নৌযানটি চোরাচালান রুট দিয়েই চলছিল।
দক্ষিণ ও মধ্য ক্যারিবীয় অঞ্চলে অবস্থিত ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনার নানা কারণ চিহ্ণিত করেন বিশ্লেষকরা। দেশটি ক্যারিবীয় অঞ্চলের প্রধান স্থলভিত্তিক ও সমুদ্রপথ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিবাদের কারণের মধ্যে রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের পেছনে প্রধান অভিযোগ, ভেনেজুয়েলা ক্রস-কারিবীয় ব্যবহার করে মাদকপাচারে জড়িত। তারা মাদকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এসব পদক্ষেপ ভেনেজুয়েলা তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে। দেশটিও সামরিক প্রস্তুতি জোরদার করতে নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে প্রস্তুত রাখছে।
সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড
বিডি-প্রতিদিন/এমই