টানা লকডাউন থাকার পর অবশেষে রাঙামাটিতে খুলেছে মার্কেট। তবে সীমিত পরিসরে। একই সাথে ব্যবস্থা করা হয়েছে নানা সুরক্ষার। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে মার্কেট পর্যবেক্ষণ করতে গঠন করা হয়েছে বিশেষ কমিটিও। যারা সকাল-বিকাল মার্কেটে স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করবে।
তবে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক বলছেন, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি বিধান মানা না হলেও নেওয়া হবে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
রাঙামাটির বৃহত্তর বনরূপা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আবু সৈয়দ জানান, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ২ মাস বন্ধ ছিল রাঙামাটির ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো। তাতে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পরে বিভিন্ন নিম্ন ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। যদিও মানুষের সামাজিক সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে মাকের্ট না খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কিন্তু এতে সংকটে পরে ব্যবসায়ীরা। বেতন ভাতা বন্ধ হয়ে যায় কর্মচারীদেরও। কারণ ঈদকে সামনে রেখে মূলত রাঙামাটির বিপণি বিতান ও মার্কেটগুলোতে ব্যবসা ভালো হয়। কিন্তু এ বছর তা হলো না। আর মাত্র কয়দিন পর ঈদ তাই শেষ সময়টায় যাতে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারে এবং কর্মচারীদের বেতন দিতে পারে তার জন্য মার্কেটগুলো খোলা রাখা হয়েছে। তবে মার্কেট খোলা থাকবে সকাল ১০ থেকে ৪টা পর্যন্ত। একই সাথে অন্যান্য দোকানগুলো ৩ ফুট দূরত্বে খোলা হবে। ক্রেতারা বাইরে থেকে তাদের পণ্য সংগ্রহ করবে। আর মার্কেটে প্রবেশের আগে অবশ্যই হাত ধুয়ে প্রবেশ করতে হবে। একই সাথে মাস্ক পরিধান করতে হবে।
অন্যদিকে শেষ মুহূর্তে রাঙামাটির মার্কেটগুলোতে শুরু হয়েছে ঈদ বাজারের প্রস্তুতি। এরই মধ্যে সবগুলো মার্কেটে ঈদের বাহারি রঙের পোশাকের প্রসরা সাজানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ জানান, সামাজিক দূরত্ব ও সরকারের দেওয়া নিদের্শনা ও স্বাস্থ্য বিধান মেনে মার্কেট পরিচালনা করতে হবে। যদি আইন অমান্য কেউ করে তার জন্য কঠোর শাস্তি ব্যবস্থা রয়েছে। এ অবস্থায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটদের ১০টি পর্যবেক্ষণ দল রয়েছে। তারা সে বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন