বগুড়ায় করোনা সংকটের মধ্যে নিম্ন আয়ের ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেকেই খাদ্য সহায়তা চাইতে ৩৩৩ এ ফোন করছে। খাদ্য সহায়তা চাওয়া ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার দিয়ে আসছেন বগুড়া সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান। তিনি গত দেড় মাস ধরে প্রায় ৮০০ পরিবারে খাবার দিয়েছেন। খাবার দেওয়ার আগে যাচাই বাছাই করে এই খাবার দেওয়া হচ্ছে বলে উপজেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে।
বগুড়া সদর উপজেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, এপ্রিল মাসে ৫৫০ জন ও চলতি মে মাসে আড়াই শতাধিক ফোন করেছেন খাদ্যের জন্য। ফোন নম্বরের সূত্র ধরে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অথবা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বারদের মাধ্যমে যাচাই বাছাই করে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ও পৌরসভার ওয়ার্ডে সরকারি খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় করোনা মোকাবিলায় সচেতনতামূলক প্রচারণায় কাজ অব্যাহত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প আশ্রয়ণ ও গুচ্ছগ্রামের অসহায় কর্মহীন পরিবারসহ কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। শহরের অলিতে গলিতে থাকা অভুক্ত-অর্ধভুক্ত কুকুরগুলোকে খাবার হিসেবে খিচুড়ি কখনো বা পাউরুটি ইত্যাদি খাবারও দেওয়া হয়েছে।
বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, ডিজিটাল পদ্ধতি অবলম্বন করে খাদ্য সহায়তা গ্রহণ করছেন অনেকেই। তার মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ রয়েছে। তারা তো ৩৩৩ ফোন করে খাদ্য সহযোগিতা চাচ্ছেন। তাদের ফোন পেয়ে ওইসব মানুষের দ্বারে দ্বারে খাদ্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন