বৈরি আবহাওয়ায় আম ও লিচুর ফলন বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের চাষিরা। অতি বৃষ্টিতে লিচুর আকার যেমন বড় হয়নি, তেমনি পোকা-মাকড়ের উপদ্রবও বেশি বলে জানায় চাষিরা। এতে পোকা ও রোগ দমনে কীটনাশক এবং শ্রমিক খরচ গুনতে হয়েছে দ্বিগুণ।
চাষিরা বলছেন, আম্ফান ও গত কয়েক দিনের ঝড়ো হাওয়ায় আম ও লিচু পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এর আগে কড়া রোদে মুকুলও পুড়ে যায়। তাই এবার আম ও লিচুর ফলন গতবারের চেয়ে অর্ধেকেরও কম।
অন্যদিকে করোনার থাবায় বাজার ব্যবস্থাপনা নাজুক হওয়ায় লোকসানের শঙ্কায় ভুগছেন তারা। লোকসান কাটিয়ে উঠতে সুদমুক্ত ঋণ ও ফল-ফসল উৎপাদনে প্রণোদনার দাবি চাষিদের।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মনজু আলম সরকারের হিসাব মতে, এবার জেলায় আমের আবাদ হয়েছে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে, আর লিচু চাষ হয়েছে ৩ হাজার হেক্টরে।
এ থেকে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ১৫ লাখ মেট্রিক টন এবং লিচু দেড় লাখ টন। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সাড়ে ৭ হাজার কৃষকের ৮৫ মেট্রিক টন আম এবং আড়াই হাজার লিচু চাষির ৫ মেট্রিক টন লিচু ঝরে নষ্ট হয়েছে। যার বাজার মূল্য আম ৩৪ লাখ টাকা এবং লিচুতে ৪ লাখ টাকা কৃষি বিভাগ লোকসান নিরুপণ করেছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল