যমুনাসহ শাখা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদ সীমার ১২৯ সেন্টিমিটার এবং জগন্নাথগঞ্জঘাট পয়েন্টে বিপদ সীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
পানিবন্দী হয়ে পড়েছে জেলার প্রায় ৬ লাখ মানুষ। এদিকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে এক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাইসহ শাখা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন করে জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ি, মেলান্দহ ও বকশীগঞ্জের বিস্তির্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সবমিলিয়ে জেলার সাত উপজেলার ৭টি পৌরসভা ও ৫০টি ইউনিয়নের ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্গত এলাকায় পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধ ও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি মোকাবেলায় ৮০টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এসব মেডিকেল টিম বন্যা দুর্গত এলাকায় কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস।
অপরদিকে বন্যার পানিতে ডুবে নিখোঁজের পর বৃহস্পতিবার সকালে সাবেক সেনা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধার নুরুল ইসলাম হিরুর(৭২) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি গত বুধবার সন্ধ্যায় দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সুগারমিল ভাটিপাড়া এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় বন্যার পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হন। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলের অদূরে আখ খেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার