সদর মডেল থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন (৩৫) হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার ভোররাতে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চান্দপুর ও শাহপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এরা হলেন- চান্দপুর গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে আবুল হোসেন (৩০) ও মুছা মিয়ার ছেলে ইসমাইল হোসেন (২০)। এর মধ্যে ইসমাইল হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মামুন মিয়ার ভাই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মামুনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এএসআই আমির হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানার আরেক এএসআই মণি শঙ্কর চাকমা বাদি হয়ে গতকাল শুক্রবার(১৭ জুলাই) রাতে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে একটি মাদক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত চান্দপুর গ্রামের মুছা মিয়ার ছেলে মামুন মিয়াকে ধরতে সহকর্মী মণি শঙ্করকে নিয়ে অভিযানে যান এসএসআই আমির। চান্দপুর বাজারে আসামি মামুনকে ধরার সময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আমিরের বুকে ছুরি চালিয়ে দেন মামুন। এ সময় মণি শঙ্করকেও আহত করে পালিয়ে যান আসামি মামুন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমিরকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক এবিএম মুসা চৌধুরী জানান, বুকের বামপাশে ফুসফুসে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। রাতেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব ওই গ্রামে আসামিদের ধরতে সাড়াঁশি অভিযান চালায়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসির