একদিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব, অন্যদিকে হাওর বন্যার কবলে। এই দুর্যোগে দুর্গত মানুষের পাশে রয়েছেন সুনামগঞ্জ সদর আসনের এমপি অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ।
জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের হুইপের দায়িত্বে থাকা এই এমপি দুর্যোগকালে ব্যক্তিগত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে প্রথমেই মানুষকে করোনাকালে দিয়েছেন খাদ্য সাহায্য। গেছেন প্রান্তিক মানুষের পাশে। তাদের যুগিয়েছেন শক্তি, সাহস আর অনুপ্রেরণা।
প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর পীর মিসবাহ প্রতিশ্রতি ছিল, শাসক হতে নয়, একজন গরীবের সন্তান হিসেবে সেবক হতে এসেছেন। নেতা নয় কর্মী হতে এসেছেন। তার কথা রেখেছেন। মহামারি করোনা আর দফায় দফায় বন্যার এমন মহাদুর্যোগকালে নিজেকে গুটিয়ে না রেখে জনগনের পাশে দাঁড়িয়ে অতীত প্রতিশ্রতি রক্ষায় কাজ করছেন।
জানা যায়, ১২ এপ্রিল সুনামগঞ্জে প্রথম করোনাভাইরাস রোগী সনাক্ত হওয়ার পর থেকে ক্রমেই বাড়তে থাকে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সম্পূর্ণ নতুন এক মহামারির ভয়ে মানুষ যখন আতঙ্কিত তখনই এই রোগের বিস্তার প্রতিরোধে এগিয়ে আসেন সদর আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করে রোগ প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণ করেন। জেলা সদর হাসপাতালের পুরতন ভবনকে রূপান্তরিত করা হয় কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের আইসোলেশ ইউনিটে।
এদিকে, জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহের মধ্যে অতিবৃষ্টি আর উজানের ঢলে পর পর তিন দফা বন্যার কবলে পড়ে গোটা সুনামগঞ্জ জেলা। জেলাজুড়ে লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। করোনা দুর্যোগকালে এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবেলায়ও সাধারণ মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান পীর মিসবাহ। দুর্গত মানুষকে খাদ্য সহায়তা, নগদ অর্থ সহায়তা, বাড়িঘর মেরামতের জন্য ঢেউটিন বিতরণ থেকে শুরু করে সব ধরণের সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন তিনি।
ঈদুল আজহার আগে ঐচ্ছিক তহবিল থেকে গরিবদের ৫ লাখ টাকা বিতরণ করেন। মহামারি চলা অবস্থায় প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের সময় নির্বাচনী এলাকায় সশরীরে থেকে দুর্যোগ মোকাবেলায় সাধারণ মানুষকে শক্তি আর সাহস যোগান বয়সে তরুণ এই জনপ্রতিনধি।
এমপি পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, করোনা মহামারী এবং একমাসের মধ্যে তিনবারের বন্যায় কষ্টে আছেন সুনামগঞ্জের মানুষ। করোনাকালের শুরু থেকে বন্যার সময় মানুষের পাশেই আছি। সামর্থের সর্বোচ্চ দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করছি। আমাদের অঞ্চলে খাদ্য সংকট হবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া পর্যাপ্ত ত্রাণ, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি অব্যাহত আছে। এ বছর আমরা ১৩ লাখ মেট্রিকটনের বেশি বোরো ধান উৎপাদন করেছি। তারপরও সংকটকালে গরীব-দুঃখী মানুষের পাশে সকল বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানাই। পাশাপাশি সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে হাই-ফ্লো অক্সিজেনসহ আইসিইউ এবং বন্যা প্রতিরোধে মহাপরিকল্পনার দাবি জানাই।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল