২৮ জুলাই, ২০২০ ১৪:৩০

মাদারীপুরে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ৬৮ বছরের বসতি উচ্ছেদের চেষ্টা

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ৬৮ বছরের বসতি উচ্ছেদের চেষ্টা

কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ৬৮ বছর ধরে বসবাস করে আসা প্রায় ২১টি পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছে একটি প্রভাবশালী মহল। জাল দলিল আর ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নিরীহ পরিবারগুলোকে হয়রানির অভিযোগও উঠেছে মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের উত্তর কাউয়াকুড়ি গ্রামের কতিপয় লোকের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগে জানা যায়, কেন্দুয়ার উত্তর কাউয়াকুড়ি গ্রামে ৪৭নং উত্তর কাউয়াকুড়ি মৌজায় ১৯৫২ সালে ১ একর ৫৭ শতাংশ জমি এবং ১৯৬২ সালে দলিলমূলে ২২ শতাংশ জমি কিনে বসতি গড়ে ছমিরা হাওলাদার, সেকান্দার মাতুব্বর, বাদশা মাতুব্বর, জলিল মাতুব্বার ও গফুর মাতুব্বর। তাদের মৃত্যুর পর ওয়ারিশসূত্রে তাদের সন্তান পরিজনরা বসবাস করে আসছে। তবে স্থানীয় আলাউদ্দিন মাতুব্বর, সালাউদ্দিন মাতুব্বর ও কালাম মাতুব্বর গংরা ১৯৬২ সালে নিলাম ক্রয় করে এবং ১৯৭০ সালে আরো একটি ভুয়া দলিল দেখিয়ে তাদের হয়রানি করেন। এক সময় মামলা করে ওই জায়গা দখলের চেষ্টাও করে।

তবে জাল দলিলের বিষয়ে জানাজানি হলে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয় আলাউদ্দিন গংরা। তবে ওই জায়গার কিছু অংশ ভিপি সম্পত্তি হওয়ায় আদালতে সরকারের সাথে ২১ পরিবারের মামলা চলছে। কিন্তু সম্প্রতি জাল দলিল করা ব্যক্তিরা স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহযোগিতায় কাঁটাতারের বেড়া দেয়। এসময় তাদের বাধা দিলে আনোয়ার মাতুব্বর, তার মেয়ে রিমা আক্তার ও তার স্ত্রী সাহিদা বেগমকে পিটিয়ে আহত করে।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ধলু মিয়া মাতুব্বর বলেন, আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি ভুয়া জাল দলিল দিয়ে কিছু ব্যক্তি জায়গা দখলের চেষ্টা করছে। তারা যে দলিল নাম্বার দেখিয়েছে, সেটা দুধখালি ইউনিয়নের একটি দলিল। যা ভুয়া বলে আদালতের কাছে প্রমাণিত। তাও কিছু কুচক্রিমহলের চেষ্টায় ৬৮ বছরের আমাদের পুরনো বাড়ি-ঘর, গাছপালা দখলের চেষ্টা করছে। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

তবে অভিযোগের ব্যাপারে কামাল মাতুব্বর গংদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর জজকোর্টের এপিপি এ্যাড. আবুল হাসান সোহেল বলেন, আদালতের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কেউ কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দখল নেয়ার সুযোগ নেই। এটা আদালত সিদ্ধান্ত নিবেন। যদি কেউ এমন কাজ করে থাকে, সে অবশ্যই আইন অমান্য করেছেন।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর