অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাগেরহাটে ৭টি উপজেলার শতাধিক গ্রাম তিন থেকে চার ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিতে ভেসে গেছে বাগেরহাট সদর, মোংলা, রামপাল, মোরেলগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলায় দেড় হাজার চিংড়ি ও মৎস্য খামার। এসব গ্রামের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে।
স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পনি বেড়েছে তিন থেকে চার ফুট। এদিকে দিনে দুইবার ডুবছে বাগেরহাটের শরণখোলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসকারী ছয় গ্রামের প্রায় ৬০০ পরিবার। বাগেরহাট সদর, মোংলা, রামপাল, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, চিতলমারী ও কচুয়া উপজেলায় গত তিন দিন ধরে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব উপজেলার শতাধিক গ্রাম তিন থেকে চার ফুট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ দুর্বিসহ অবস্থার মধ্যে পড়েছে। অধিকাংশ রাস্তাঘাট, সবজি খামার তলিয়ে গেছে।
শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের বলেশ্বর নদীর পাড়ের রাজৈর মারকাজ মসজিদ থেকে বান্দাঘাটা পর্যস্ত ৩০০পরিবার এবং সাউথখালী ইউনিয়নের বগী, ত্যাড়াবেকা, পানিরঘাট, সোনাতলা ও খুড়িয়াখালী গ্রামের ৬০০ পরিবার বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাস করছে। জোয়ারে এসব পরিবারের ঘরের মধ্যে অন্তত দেড় থেকে দুই ফুট পানি উঠেছে। সকাল-সন্ধ্যা দুইবেলা ডুবছে তাদের বসত ঘর।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক জেলার সদর, মোংলা, রামপাল, মোরেলগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলায় দেড় হাজার চিংড়ি ও মৎস্য খামার অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পানিতে ডুবে যাওয়া মৎস্য খামারের সব চিংড়ি ও সাদা মাছ ভেসে গেছে। এসব মৎস্য খামারীদের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা সরেজমিনে কাজ করছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল