১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ২১:০০

ঘোড়াঘাট ইউএনও ও তার বাবার ওপর হামলার মামলায় মূল হামলাকারী রবিউল ইসলাম

দিনাজপুর প্রতিনিধি

ঘোড়াঘাট ইউএনও ও তার বাবার ওপর হামলার মামলায় মূল হামলাকারী রবিউল ইসলাম

ইউএনও ওয়াহিদা খানম

ঘোড়াঘাট ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার উপর হামলার মামলায় আদালতে ২জন সাক্ষীকে হাজির করে কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় সাক্ষ্যগ্রহণ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এ নিয়ে বিচারকের কাছে ৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

পুলিশের সার্বিক তদন্ত, আলামত এবং সাক্ষীদের জবানবন্দি অনুযায়ী ইউএনও’র বাড়ির বরখাস্তকৃত মালিই মূল হামলাকারী রবিউল ইসলাম। পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা-ডিবির তদন্তে এটিই প্রমাণিত হতে যাচ্ছে এ হামলার সঙ্গে রবিউল ইসলাম একাই জড়িত ছিল।

আজ রবিবার ২য় দফার ৩দিনের রিমান্ড শেষে রবিউল ইসলামকে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদানের জন্য হাজির করা হবে।

শনিবার বেলা ১টায় পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন আরো জানান, এ চাঞ্চল্যকর মামলার গ্রেফতারকৃত আসামি ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদের বরখাস্তকৃত মালি রবিউল ইসলাম রিমান্ডে থাকা অবস্থায় জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ওই হামলায় আরও ২জন ছিল। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ওই দু’জনকে শনাক্ত করা হয়। তারা হলো-ঘোড়াঘাট উপজেলার ওসমানপুর কওমি মাদ্রাসার ১০বছর বয়সের মাদ্রাসার ছাত্র মো. অলিউল্লাহ হক এবং ঘোড়াঘাট উপজেলার কুচারপাড়া গ্রামের কবিরাজ মশিউর রহমানের ছেলে সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ (২৩)।
শনিবার বেলা ১২টায় দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিশির কুমার বসুর আদালতে তাদের সোপর্দ করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ওসি আবু ইমাম জাফর জানান, এই ২জন সাক্ষীকে কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি গ্রহণের জন্য বিচারকের কাছে আবেদন করা হয়। পরে বিচারক শিশির কুমার বসু এ ২জন সাক্ষীকে বেলা ১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এরপর তাদেরকে নিজ হেফাজতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আজ দুপুরে ২য় দফার রিমান্ড শেষে রবিউল ইসলামকে বিচারকের নিকট সোপর্দ করে কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদানের জন্য হাজির করা হবে।
 
পুলিশ সূত্র জানা যায়, ইতিপূর্বে এ চাঞ্চল্যকর মামলায় আরও ৩জন সাক্ষী মুরাদ হোসেন, আইনুল ইসলাম ও খোকন আলীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে বিচারক। এ নিয়ে মোট ৫জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলো। এই ৫ জন সাক্ষী গ্রেফতারকৃত আসামি রবিউল ইসলাম এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার স্বপক্ষে সাক্ষ্য দেন। 

পুলিশ সূত্রে আরও জানায়, রবিউলের বক্তব্য তাকে অন্যায়ভাবে চুরির অভিযোগ তার ওপর চাপিয়ে দিয়ে ইউএনও ওয়াহিদা খানম গত জানুয়ারি মাসে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। পরবর্তীতে গত ১ আগস্ট দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম রবিউলকে মালির চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন। এই ক্ষোভ ও অভিমানে রবিউল পরিকল্পনা করে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে তার মনের যন্ত্রনা নিবারণ করেন।
তদন্তকালীন রবিউলকে গ্রেফতার করার পর ঘটনার সময় পরনে থাকা তার প্যান্ট জব্দ করা হয়। এছাড়া রবিউল রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী হাতুড়ি, চাবির ঝোপা, মই ও অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর