২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১০:৪০

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, দুর্ভোগ চরমে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, দুর্ভোগ চরমে

কুড়িগ্রামে ৫ম দফা বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সবগুলো নদনদীর পানি বাড়লেও ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেশি বেড়েছে। মঙ্গলবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ধরলা নদীর পানি কিছুটা হ্রাস পেলেও ব্রহ্মপুত্রের পানি অনেকটা বেড়েছে। ধরলা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার এখনও ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় চর ও দ্বীপচরের বানভাসী প্রায় ষাটহাজারেরও বেশি মানুষের দুর্ভোগ এখনও রয়েছে। বন্যা এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকট। তাছাড়া চরগুলোতে বন্যার পানি থাকায় গবাদি পশু নিয়ে এখানকার মানুষজন পড়েছেন সংকটে। 

ধরলা নদীর পাড়ের মহিতুল্যাহ মিয়া জানান, গরুর খের ও পোয়াল পাওয়া যাচ্ছে না। দামও অনেক বেশি। ক্যামন করি ওগলাক বাঁচাই। চরত পানি দিয়া ভর্তি। ওগলার কোন খাবার নাই। একারনে খড়  ও গোখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে গোখাদ্য সংকট। 

৫ম দফা বন্যায় জেলার ১৮ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় কৃষকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। ধার-দেনা করে আমন আবাদ করলেও বন্যায় সব নষ্ট হয়ে গেছে। পাঁচগাছী এলাকার কৃষক আব্দুর রহমান জানান, পরপর ৫ বার বন্যায় আমাদের আমন ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেল। কিভাবে আমরা বাঁচব। ধার দেনা করে দূর থেকে বিচন কিনি নতুন করি রোয়া গারছি। এখনতো আর বুদ্ধি নাই। 

এদিকে, জেলার বিভিন্ন নদনদীতে তীব্র ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সদর উপজেলার শুভারকুটি এলাকার পাঙারচরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহররক্ষা বাঁধের ৩০০মিটারের প্রায় ৫০মিটার ধ্বসে গিয়েছে। ফলে এ এলাকার হাজার হাজার মানুষ নদীভাঙনের আতংকে রয়েছেন। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম জানান, পানি ধীরে ধীরে কমে আসছে এবং বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। দুই একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি।


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর