গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির বলেছেন, পুলিশ ও জনগণের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করতে হবে। মনে রাখতে হবে আমরা সবাই পরস্পরের ভাই। সমাজ থেকে অপরাধ দূরীকরণ, অপরাধের কারণ দূরীকরণ, অপরাধ ভীতি হ্রাস এবং সমাজের অন্যান্য যে সমস্ত সমস্যা আছে সেগুলোর সমাধান দেয়াই হলো কমিউনিটি পুলিশের কাজ।
অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের সামনে নিয়ে আসা এবং যারা নিরীহ জনগণ আছে তাদের যাতে সার্বিক নিরাপত্তাবোধ প্রদান করা সম্ভব হয় সেটা নিশ্চিত করা।
পুলিশ কমিশনার শনিবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানা প্রাঙ্গণে কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২০ উপলক্ষে কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আজাদ মিয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শরিফুর রহমান, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, পরিবহন শ্রমিক নেতা সুলতান আহমদ সরকার, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ, আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন মহি, গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সদর থানা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
সবাইকে বিশেষ করে পুলিশ সদস্যদের সৎ কাজের আহ্বান জানিয়ে পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, আমাদের সৎ কাজের নির্দেশনা দিতে হবে। বাধা দিতে হবে অসৎ ও মন্দকাজের। মনে রাখতে হবে ভাল ও মন্দ সমান নয়।
তিনি বলেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ধারণা সৃষ্টি হয়েছে সংঘবদ্ধভাবে জনগণের অংশগ্রহণে ও জনগণের মতামতের ভিত্তিতে পুলিশের সঙ্গে সর্বোত্তম সেবার ভিত্তিতে নিজের অঙ্গীকার পূরণ করে কাজ করা। আর অঙ্গীকার আমাদের যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে অঙ্গীকার পূরণ করি।
এর আগে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিরা বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ডে এর উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে কমিউনিটি পুলিশিংয়ে বিশেষ অবদান রাখার জন্য চারজনকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর