নাম পরিচয়হীন এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী (২০/২২) কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে স্বাভাবিকভাবেই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি।
হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন জানান, নবজাতক মেয়েটি সুস্থ আছে। যেহেতু তার কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি, সে কারণে আদালতে এফিডেভিট করে শিশুটিকে সমাজসেবা বিভাগের এতিমখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
কিশোরগঞ্জ জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. কামরুজ্জামান জানান, প্রতিবন্ধী মেয়েটি পাকুন্দিয়া হাসপাতালে ভর্তি ছিল। পরে তাকে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। স্বাভাবিকভাবেই তার বাচ্চা প্রসব হয়। এখনও শিশুটির কোন নাম রাখা হয়নি। তিনি আরও জানান, মা যেহেতু মানসিক প্রতিবন্ধী, সে কারণে শিশুটিকে মায়ের সাথে রাখা যাবে না। নিয়ম অনুযায়ী আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে ঢাকায় ছোটমণি নিবাস বা উপযোগী অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে নেওয়া হবে। আর মাকেও ঢাকায় মানসিক প্রতিবন্ধীদের কোন প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
মানসিক প্রতিবন্ধী ঐ নারী এর আগে কটিয়াদী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এ ব্যাপারে কটিয়াদী রক্তদান সমিতির সমন্বয়ক বদরুল আলম নাঈম জানান, কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে তাকে দেখে গত ১৯ অক্টোবর রক্তদান সমিতির কয়েকজন সদস্য মিলে কটিয়াদী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। পরে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানা যায় তিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু ভর্তির পরদিনই তিনি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পরে তারা জানতে পারেন তিনি পাকুন্দিয়া হাসপাতালে রয়েছেন। পাকুন্দিয়া হাসপাতালে প্রায় এক সপ্তাহ ভর্তি ছিলেন তিনি। রবিবার রাতে তাকে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালে কন্যা সন্তান প্রসব হওয়ার খবরে রক্তদান সমিতির পক্ষ থেকে কাঁথা, বালিশ, কম্বল, দোলনা, ফল-মূলসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রি প্রদান করা হয়। আরও অনেকেই উপহার সামগ্রি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন