রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট থেকে ২টি বড় ফেরি শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটে নিয়ে যাওয়ার কারণে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে যাত্রী ও চালকদের তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
গোয়ালন্দ মোড় থেকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যানজটমুক্ত রাখার জন্য গোয়ালন্দ মোড়ে পণ্যবাহী ট্রাক আটকে দিচ্ছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ক্যানাল ঘাট পর্যন্ত দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়।
অন্যদিকে ঘাট থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকে দেয় পুলিশ। ঘাটে গাড়ির চাপ কমলে সিরিয়ালে গাড়ি ছাড়তে দেখা যায় তাদের।
ঈগল পরিবহনের যাত্রী শারমিন আক্তার বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে দুই ঘণ্টার মতো আটকে রয়েছি। আর কত সময় অপেক্ষা করতে হবে সেটা জানি না। ফেরি স্বল্পতা এবং ছোট গাড়িগুলো অবাধে ফেরিতে উঠে যাওয়ার কারণে তাদের ভোগান্তি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ট্রাক চালকেরা অভিযোগ করে বলেন, পূর্বের কোনো ঘোষণা ছাড়াই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট থেকে দুইটি রো-রো ফেরি (বড় ফেরি) অন্য ঘাটে নিয়ে গিয়েছে। যে কারণে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
রাজবাড়ীর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তারক চন্দ্র পাল মুঠোফোনে বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ রুট থেকে ২টি বড় ফেরি অন্য রুটে সরিয়ে নেওয়ার কারণে ভোগান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসির) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বেশ কয়েকদিন ধরে ১৯টি ফেরি চলাচল করছিলো। গতকাল সোমবার এ রুট থেকে শাহ মখদুম এবং বীর শ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নামের ২টি বড় ফেরি শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী নৌরুটে নিয়ে যাওয়ার কারণে ভোগান্তি বেড়েছে।
এছাড়া শাহ পরাণ নামে একটি ফেরি মেরামতের জন্য কারখানায় রয়েছে। ৩টি বড় ফেরি না থাকার কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনের চাপ না কমলে ভোগান্তি কমবে না বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর