৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৭:২৩

সেফহোম থেকে পালানো ৭ কিশোরীর একজনকে উদ্ধার

ফরিদপুর প্রতিনিধি:

সেফহোম থেকে পালানো ৭ কিশোরীর একজনকে উদ্ধার

ফরিদপুরে মহিলা ও শিশু কিশোরী হেফাজতীদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র (সেফহোম) থেকে গত শুক্রবার ভোরে দেয়াল টপকিয়ে পালিয়ে যাওয়া ৭ কিশোরীর মধ্যে একজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া কিশোরীর নাম আসিয়া (১৪)। শনিবার সকালে সদর উপজেলার বিল মাহমুদপুর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। 

এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া বাকি ৬ কিশোরীকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এদিকে, ৭ কিশোরী সেফহোম থেকে পালিয়ে যাওয়ায় ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। নিরাপত্তা বেষ্টনীতে থাকা কিশোরীরা কিভাবে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলো তা নিয়ে বেশ সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। 

ফরিদপুর সেফহোমের তত্বাবধায় রোমানা আক্তারের থানায় সাধারণ ডায়েরী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে সর্বশেষ গননাতে হেফাজতীদের সংখ্যা ঠিক ছিল। শুক্রবার ভোরে সেফহোমের বাবুর্চি ৫নং কক্ষেরে জানালার গ্রীল ভাঙ্গা দেখতে পান। তিনি তাৎক্ষণিক বিষয়টি তত্বাবধায়ক রোমানা আক্তারকে জানান। রোমানা আক্তার অন্যান্য কর্মীদের নিয়ে গননা করে দেখতে পান ৭জন হেফাজতী নিখোঁজ। নিখোঁজ থাকা হেফাজতীরা হলেন, সাথি আক্তার সোনালী (২২), লাকি আক্তার সুরমা (২২), আছিয়া (১৪), মেঘলা (১৪), তামান্না আক্তার (১৬), ময়না (২০) ও আলিশা আক্তার তারা (২০)। এর মধ্যে আছিয়াকে উদ্ধার করা হয়েছে।

নিখোঁজ কিশোরীদের বিষয়ে কোতয়ালী থানায় জিডি করা হয়। সেফহোমের কর্মকর্তারা ৭ কিশোরী নিখোঁজের বিষয়টি চেপে যান। প্রথমে তারা থানা পুলিশের কাছে ৪ জন নিখোঁজের কথা বলেন। পরে ৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে থানায় অভিযোগ করেন।
শনিবার সকালে শহরতলীর বিলমাহমুদপুর এলাকা থেকে আছিয়া বেগমকে উদ্ধার করা হয়। 

সেফহোমের তত্বাবধায়ক রোমানা আক্তার জানান, তার তত্বাবধানে ৭২ জন হেফাজতী রয়েছে। শুক্রবার ভোরে ৭ জন পালিয়ে যাবার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে থানায় সাধারন ডায়েরী করা হয়। তিনি জানান, একজনকে ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আলী আহসান জানান, সেফহোমের স্থাপনাগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল শান্তি নিবাসের জন্য। পরে এখানে হেফাজতীদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এখন সীমানা প্রাচীর একদম নিচু। যে কেউ ইচ্ছে করলে সীমানা প্রাচীর টপকাতে পারে। আর দরজা-জানালার গ্রীলসমূহ খুবই পাতলা ও দুর্বল, যা সহজে ভাঙ্গা যায়। তিনি আরো বলেন, এখানে হেফাজতীদের রাখা হলেও সমাজসেবার নিজস্ব কোন প্রহরী নেই। আনসার ও পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করে থাকেন। এসব কারণেই এখানে থাকা কিশোরীরা সহজে পালাতে সক্ষম হয়েছে।  

কোতয়ালী থানায় ওসি মোরশেদ আলম বলেন, নিখোঁজ হওয়া ৭ কিশোরীর মধ্যে একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি কিশোরীদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর