অত্যাধুনিক ওটি (অপারেশন থিয়েটার) থাকলেও কনসালটেন্ট ও এনেসথেসিয়া চিকিৎসকের অভাবে অপারেশন হয় না। এক্সরে মেশিন ও ডেন্টাল চেয়ার নষ্ট, আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন নাই-সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
চতুর্থ শ্রেনীর জনবল সংকটের কারণে একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী দিয়ে চলছে হাসপাতালের পরিস্কারকরণ এবং একজন ওয়ার্ড বয় রয়েছে। চিকিৎসক আছে কিন্তু ডেন্টাল সরঞ্জামাদীসহ ডেন্টাল চেয়ার নাই।
এমনটাই জানালেন হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ আল হাসান।
এদিকে, এক্সরে মেশিন ও ডেন্টাল চেয়ার নষ্ট, আল্ট্রাসোনোগ্রাম মেশিন নাই- এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কতিপয় স্থানীয় দালালরা রোগীদের বাইরের ক্লিনিক থেকে আলট্রাসনোগ্রাম ও ইসিজি করতে উৎসাহিত করছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছেন।
দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিলি স্থলবন্দরে কাজ করা কয়েক হাজার শ্রমিকসহ হাকিমপুরের ২ লক্ষাধিক মানুষ প্রত্যাশিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত। এ হাসপাতালের অবকাঠামো বাড়লেও রোগীর বেডে লাগেনি আধুনিকতার ছোঁয়া।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ডেন্টাল চেয়ার চালুর একমাসের মাথায় নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এক্সরে মেশিন নষ্ট হয়ে রয়েছে। আল্ট্রাসোনোগ্রাম মেশিন নাই। কনসালটেন্ট-এর ৬টি পদই ফাঁকা রয়েছে। ওটি আছে কিন্তু এনথেসিয়া চিকিৎসকের অভাবে অপারেশন হয় না। সেবিকার ২০টি পদ থাকলেও কর্মরত আছেন ১৭ জন। আর চতুর্থ শ্রেনীর জনবল সংকট চরমে। প্রতিদিন ইনডোর ও আউটডোর মিলে ২শ থেকে ৩শ রোগী আসে। এতে হিমসিম পোহাতে হয় কর্তৃপক্ষকে।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ আল হাসান জানান, ৫০ শয্যায় উন্নীত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৩ জন চিকিৎসকের স্থলে ১২জন চিকিৎসক রয়েছে। কিন্তু কনসালটেন্ট প্রয়োজন ৬ জন কিন্তু একজনও নেই। ডেন্টাল চিকিৎসক থাকলেও ডেন্টাল চেয়ার নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। চতুর্থ শ্রেনীর জনবল সংকট বেশী। আছে মাত্র একজন ওয়ার্ড বয় এবং একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী দিয়ে পুরো হাসপাতাল পয়-পরিস্কার রাখা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন ইনডোর ও আউটডোর মিলে ২শ থেকে ৩শ রোগী আসে। সমস্যার পরেও রোগীদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। জনবল সংকটের বিষয়টি নিয়মিত স্বাস্থ্য বিভাগকে অবগত করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার